হোয়াইট হাউসের সামনে মোদি বিরোধী বিক্ষোভ

সংগৃহীত ছবি

হোয়াইট হাউসের সামনে মোদি বিরোধী বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক

নরেন্দ্র মোদির সফর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো বিক্ষোভকারী। ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি মোদি সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভে অংশ নেন উদারপন্থী আইন প্রণেতারা। খবর রয়টার্সের।  

এ দিনের বিক্ষোভে অংশ নেন ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিলের অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর অজিত সাহি।

তিনি বলেছেন, ‘মোদির চিন্তা করা উচিত কেন প্রেস ব্রিফিংয়ে তাকে প্রথম প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। এটা সবার কাছে স্পষ্ট যে ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। ’

ভারতীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে হিন্দুত্ব ওয়াচ নামে একটি গ্রুপ। এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রাকিব হামিদ নায়েক বলেছেন, ‘মোদির মন্তব্য (তার সরকারের অধীনে কোনো ধর্মীয় বৈষম্য নেই) সম্পূর্ণ মিথ্যা।

ভারত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য একটি কালো গহ্বরে পরিণত হয়েছে। ’

২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নরেন্দ্র মোদি পাঁচবার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক মর্যাদার সাথে এই সফরটিই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে মোদির প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। যদিও মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টির অধীনে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে উদ্বেগ রয়েছে।

ওয়াশিংটন দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের আশা করছে। কারণ চীনকে মোকাবিলায় ভারতকে পাশে রাখা প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের। তবে মানবাধিকার কর্মীরা উদ্বিগ্ন যে, ভূরাজনীতির হিসেব-নিকেশে হয়তো ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো চাপা পড়ে যাবে। আর এ কারণে বেশ কয়েকটি মার্কিন মানবাধিকার গোষ্ঠী আগেই মোদির সফরের সময় বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছিল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, চীনকে মোকাবিলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারতের গুরুত্ব এবং উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ওয়াশিংটনের পক্ষে ভারত ও তার সরকারের মানবাধিকারের সমালোচনা করা বেশ কঠিন করে তুলেছে। আর এ কারণেই বৃহস্পতিবার মোদির জন্য লাল গালিচা বিছিয়ে দিয়েছেন বাইডেন।

রয়টার্স বলছে, মার্কিন কংগ্রেসের দুই মুসলিম নারী সদস্য প্রতিনিধি ইলহান ওমর এবং রাশিদা তালাইব প্রতিনিধি আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজের মতো অন্যান্য প্রগতিশীল আইন প্রণেতাদের সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে মোদির ভাষণ বয়কট করেছেন। মূলত ভারতীয় ভিন্নমতাবলম্বী এবং সংখ্যালঘুদের - বিশেষ করে মুসলমান - ওপর নির্যাতনের অভিযোগ এনে মোদির ভাষণ বয়কট করেন তারা।

মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, মোদির আক্রমনাত্মক হিন্দু জাতীয়তাবাদ ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জায়গাকে সংকীর্ণ করে তুলেছে।

নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছেন, ভারত সরকারের নীতির সুবিধা সকলের কাছেই পৌঁছাচ্ছে। তবে মানিবাধিকার গোষ্ঠীগুলো অবশ্য বলছে, মোদি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ভারতে ভিন্নমতাবলম্বী, সংখ্যালঘু এবং সাংবাদিকরা আক্রমণের শিকার হয়েছে।

news24bd/Arh