সিনিয়র সচিব খাজা মিয়া ওএসডি

সংগৃহীত ছবি

সিনিয়র সচিব খাজা মিয়া ওএসডি

অনলাইন ডেস্ক

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব খাজা মিয়াকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে সরকার। বিসিএস দশম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তাকে ওএসডি করে মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।  

চাকরির মেয়াদ ছয় মাস থাকতেও কেন খাজা মিয়াকে ওএসডি করা হয়েছে, সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু বলা হয়নি।  

আগামী নির্বাচনে নিজ এলাকা নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সম্প্রতি প্রচার চালান খাজা মিয়া।

এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। পরে এ সংবাদ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও দেখে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান।


 বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খাজা মিয়াকে এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে খাজা মিয়াকে তার অবস্থান তুলে ধরতে এবং তার বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবকে সাত দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।

অন্যথায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তার অবসর পর ৩ বছর পার হওয়ার আগে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই।

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫(১) ধারায় (রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ) বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গ সংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না। ’

অন্যদিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২-এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসর গমন করেছেন এবং উক্ত পদত্যাগ বা অবসর গমনের পর তিন বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে। অর্থাৎ অবসর বা পদত্যাগের পর তিন বছর শেষ না হলে কোনো সরকারি চাকরিজীবী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। ’
News24bd.tv/AA