বগুড়া সদরে পূর্বনির্ধারিত পদযাত্রা কর্মসূচির পালনকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এদিকে পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলির শব্দে আতঙ্ক ও শ্বাসকষ্টে শহরের একটি উচ্চবিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে অবজারভেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ইয়াকুবিয়ার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে বনানী থেকে জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনার নেতৃত্বে পদযাত্রা শহরের দিকে আসছিল। মিছিলটি ইয়াকুবিয়ার মোড়ে পৌঁছালে পেছনে থাকা নেতাকর্মীরা সাতমাথার দিকে যেতে চান।
কিন্তু তাতে বাধা দেয় পুলিশ।
বিএনপি নেতা আলী আজগর বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পদযাত্রা শেষ করে বনানী থেকে নেতাকর্মীরা শহরের দিকে যাওয়ার সময় বাধা দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে বিনা কারণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ৫০ জন কর্মী আহত হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের ইয়াকুবিয়ার মোড় থেকে সাতমাথায় যাওয়ার অনুমতি ছিল না। তারা যেতে চাইলে আমরা বাধা দেই। তাদের হামলায় অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীরা বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা করেছেন। পুলিশ জানমাল রক্ষার্থে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় পাশের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনিচ্ছাকৃত।
news24bd.tvতৌহিদ