মানিকগঞ্জ পৌঁছেছে পাইলট আসিম জাওয়াদের মরদেহ

মানিকগঞ্জে পাইলট রিফাতের মরদেহ

মানিকগঞ্জ পৌঁছেছে পাইলট আসিম জাওয়াদের মরদেহ

অনলাইন ডেস্ক

মানিকগঞ্জে পৌঁছেছে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদ রিফাতের মরদেহ। শুক্রবার (১০ মে) দুপুর ১২টার দিকে তাকে বহনকারী বিমানবাহিনীর-২১৯ হেলিকপ্টারটি মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে নামে।

এর আগে নিরাপদে হেলিকপ্টারটি মাটিতে নামার জন্য সকল প্রস্তুতি নেয় বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা। বৈমানিক আসিম জাওয়াদ রিফাতের মরদেহের সঙ্গে তার বাবা ডা. আমানউল্লা, স্ত্রী অন্তরা আক্তার ও দুই সন্তান হেলিকপ্টারে আসেন।

নিহত ছেলের বহনকারী হেলিকপ্টার দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা নিলুফা খানমসহ স্বজনরা।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামেই তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেলা শহরের সেওতা কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন এই বৈমানিক।

বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার আন্নু বলেন, নিহত বৈমানিক আসিম জাওয়াদ রিফাতের মরদেহ নিয়ে মানিকগঞ্জে পৌঁছানোর গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

পরে তার মরদেহের কফিনটি একটি ফ্রিজিং গাড়িতে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ প্যারাসুট দিয়ে নদীতে নামলেও আহত হন।

পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা বিএনএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিমানের উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক আসীম জাওয়াদ ওরফে রিফাত বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মারা যান।

নিহত আসীম জাওয়াদ রিফাত মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লার ছেলে। তার মায়ের নাম নিলুফা খানম। নিহত পাইলট রিফাত মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী কন্যা আইজা ও এক পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন।  
news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক