মাদারীপুর সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. তোফায়েল হোসেনের বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা করেছে নির্যাতিতা শিক্ষিকা। তবে মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়নি সেই তোফায়েল।
এদিকে মামলা করার কারণে শিক্ষিকার চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে শিক্ষা অফিসার তোফায়েল।
মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ঠ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে অফিসিয়াল কাজে যান ওই শিক্ষিকা। এসময় ওই শিক্ষিকার কয়েকটি ছবি তুলেন তোফায়েল। ছবি তোলার কারণ জিজ্ঞেস করলে তোফায়েল ওই শিক্ষিকাকে পাশের আরেকটি নির্জন কক্ষে নিয়ে যায়। এসময় ওই ছবির সাথে অশালীন ছবি যুক্ত করে ইন্টারেনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমিকি দিয়ে কুপ্রস্তাব দেন।
এ ব্যপারে ওই শিক্ষিকা বলেন, ‘আমার সাথে খারাপ কাজ করল, আবার আমারই চাকরি খাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমি ওর বিচার চাই। ’
তবে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. তোফায়েল হোসেন। তিনি দাবি করেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কেন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেননি।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। যেহেতু বিষয়টি অফিসিয়ালভাবে মিমাংশা যোগ্য নই তাই শিক্ষিকা মামলা করেছে।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল হাসান বলেন, শিক্ষিকা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। দ্রুত সময়ই আসামি গ্রেপ্তার হবে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)