ধর্ষণের ভিডিও করে সাতজন মিলে ধর্ষণ!

সাতজন মিলে ধর্ষণ। প্রতীকী

ধর্ষণের ভিডিও করে সাতজন মিলে ধর্ষণ!

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা মহানগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার বিহারী কলোনী এলাকায় কিশোরীকে (১৪) গণধর্ষণের ঘটনায় তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সোমবার বিকেলে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত-২ এর বিচারক তরিকুল ইসলাম এ জবানবিন্দ রেকর্ড করেন। এছাড়া গ্রেপ্তার আরো দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।

মামলার বাদী ও সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এই মামলায় এজাহারভূক্ত নয় আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে আসামি নুরুন্নবী আহমেদ (১৮), শেখ শাহাদাৎ (২০) ও মঈন হোসেন হৃদয় (২০) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এছাড়া অপর দুই আসামি রাব্বি হাসান পরশ (২১) ও মাহমুদ হাসান আকাশকে (২১) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। মূল আসামি শান্ত বিশ্বাসসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ জানায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে গত শনিবার বিকেলে আসামি শান্ত বিশ্বাস মেয়েটিকে পশ্চিম বানিয়াখামার বিহারী কলোনীতে নুরুন্নবীর বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর সেখানে তাদের পূর্ব পরিচিত বন্ধুরা উপস্থিত হয়। এক পর্যায়ে শান্ত বিশ্বাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ছবি তুলে মেয়েটিকে ব্লাকমেইল শুরু করে। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে সাত বন্ধু মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাও মোবাইলে ধারণ করা হয়। পরে এই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে মেয়েটির কাছে চাঁদা দাবিও করে বখাটেরা।

পরে রোববার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে মেয়েটির পরিবার।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/শাহীন/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর