আমরা এক নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের সুযোগ পেয়েছি। একে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশে ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু প্রযুক্তির প্রসার নয়-এটি নাগরিকের জীবনে মর্যাদা পাওয়ার লড়াইয়ের অংশ। সবার জন্য সেবা শুধু একটি নীতিবাক্য নয়, বরং এমন এক স্বপ্ন, যেখানে রাষ্ট্রের সেবা পৌঁছায় সেই সব হাতেও, যাদের কথা সমাজ প্রায়ই ভুলে যায়। নারী, বয়স্ক, প্রান্তিক কিংবা অক্ষম-প্রতিটি মানুষ যেন অনায়াসে, নির্ভয়ে ডিজিটাল সেবায় অংশ নিতে পারেন, সেটিই এই রূপান্তরের প্রকৃত পরীক্ষা। বাস্তবে এই সমতা প্রতিষ্ঠার পথ এখনো মসৃণ নয়। ডিজিটাল নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে ডিজিটাল ডিভাইড বা প্রযুক্তিগত বৈষম্য যেন আরো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এই বৈষম্য কমানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে শহর ও গ্রামের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারে রয়েছে চোখে পড়ার মতো পার্থক্য। শহরে যেখানে ইন্টারনেট...
ডিজিটাল বৈষম্য : যে বাধা দূর করতেই হবে
জুলফিকার নজরুল

বিশ্বকে পথ দেখাল সশস্ত্র বাহিনী
অদিতি করিম

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা, গৌরবগাঁথা বিশ্বজুড়ে। বিশ্বে যেসব দেশে গৃহযুদ্ধ, হানাহানি এবং অশান্তির আগুনে নিপতিত, সেখানেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী থেকে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্বে কেন এত জনপ্রিয়, কেন শীর্ষে তা পূর্ব তিমুর, দক্ষিণ সুদান, কঙ্গো, আফ্রিকাসহ বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললেই জানা যায়। আমরা বাংলাদেশে বসবাস করে শুধু তাদের প্রশংসা শুনতাম; কিন্তু তাদের দক্ষতা, মেধা এবং কর্তব্যপরায়ণতা সম্পর্কে আমাদের সরাসরি অভিজ্ঞতা ছিল না। গত ৯ মাসে যেন সেই সশস্ত্র বাহিনীকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছে বাংলাদেশের মানুষ। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এই ৯ মাসে জনগণের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। জনগণের ভালোবাসায় ধন্য হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সশস্ত্র...
বাংলাদেশের শিক্ষাখাত: অতীত-বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ভাবনায় বিএনপি
অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকার সিংহদ্বারে লেখা রয়েছে- কোনো জাতিকে ধ্বংস করার জন্য পারমাণবিক হামলা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দরকার নেই। বরং সেই জাতির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় প্রতারণার সুযোগ দিলেই হবে। কারণ এভাবে পরীক্ষা দিয়ে তৈরি হওয়া ডাক্তারদের হাতে রোগীর মৃত্যু হবে। ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা নির্মিত দালান-কোঠা, ইমারত ধ্বংস হবে এবং অর্থনীতিবিদের দ্বারা দেশের আর্থিক খাত দেউলিয়া হবে। বিচারকদের হাতে বিচারব্যবস্থার কবর রচনা হবে। সুতরাং শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মানে হলো একটি জাতির অবলুপ্তি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দেড় দশক বাংলাদেশে উপরোক্ত উক্তির বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেছে। শেখ হাসিনার আমলে এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গেছে তার ক্ষত সারাতে আগামী কতো যুগ আমাদের অপেক্ষা করতে হবে জানা নেই। কেননা...
তারেক রহমানের হিরণ্ময় পরিকল্পনায় শহীদ জিয়ার উন্নয়ন দর্শনের পুনর্জাগরণ
কবীর আহমেদ ভূঁইয়া

নাদী মাতৃক বাংলাদেশে অর্থনীতি ও কৃষিতে যুগান্তকারী মহাবিপ্লব ঘটিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ক্ষণজন্মা এই রাষ্ট্রনায়কের বহুমাত্রিক অবদান এবং দেশপ্রেমের অক্ষয়-অব্যয় ভূমিকার পুরোভাগজুড়ে মোটাদাগে ছিল খাল খননের মাধ্যমে সবুজ বিপ্লব। তলাবিহীন ঝুড়ির কালিমা থেকে দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অভাবনীয় সাফল্যের সোপানে নিয়ে যান। শহীদ জিয়াউর রহমান দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য খাল খনন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি নিজে খাল খনন করে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করেছেন। খাদ্য উৎপাদন দিগুণ করে বিদেশে রপ্তানি করেছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান সমাজকে সংগঠিত করার এক অনন্য নজির হচ্ছে খাল খনন কর্মসূচি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করা হয়। আপাতদৃষ্টে এ কর্মসূচিকে শুধুই খাল খনন মনে করা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর