বিপদ সব ক্ষেত্রে মানুষের বিনাশ ডেকে আনে না। বরং কিছু কিছু বিপদ মানুষের জন্য নতুন সম্ভাবনা খুলে দেয়। আরো সচেতন ও শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। দুনিয়া-আখিরাতে মর্যাদা বৃদ্ধি করে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। (সুরা: বাকারা, আয়াত: ১৫৫) এ আয়াত দ্বারা বোঝা যাচ্ছে, সাময়িক দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন দুনিয়ার জীবনের স্বাভাবিক রুটিনের অন্তর্ভুক্ত। কখনো রাত, কখনো দিন, কখনো কান্না, কখনো হাসি নিয়েই দুনিয়ার জীবন। সুতরাং কোনো বিপদে পড়লে তাকে অপ্রত্যাশিত কিছু মনে না করলেই ধৈর্য ধারণ করা সহজ হয়ে যায়। বিপদে ধৈর্য ধারণ বিপদকে নিয়ামতে পরিণত করে দেয়। তখন বিপদই বান্দার জন্য কল্যাণকর হয়ে যায়। তবে বিপদে আল্লাহর ওপর ভরসা হারালে তা নিছক বিপদই থাকে, বা আরো...
কিছু বিপদ কল্যাণ বয়ে আনে
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

জান্নাতের স্তর ও জান্নাতিদের শ্রেণি বিন্যাস
মুফতি আবদুল্লাহ নুর

কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের একাধিক নাম এসেছে। যা দ্বারা জান্নাতের সংখ্যা অধিক বলেই ধারণা হয়। তবে গবেষক আলেমরা বলেন, সংখ্যার বিবেচনায় জান্নাত একটি। তবে তার একাধিক স্তর ও শ্রেণি রয়েছে। কোরআন ও হাদিসে জান্নাত শব্দটি যেখানে বহুবচন হিসেবে ব্যবহূত হয়েছে, সেখানে জান্নাতের মাহাত্ম্য, স্তরগুলো, প্রকারভেদ কিংবা জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তির নেকির বিপুলতার দিকে ইঙ্গিত করা উদ্দেশ্য। যেমনটি আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণিত, উম্মে রাবি বিনতে বারা (রা.) নবী (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, আল্লাহর নবী! আমাকে কি হারেসা সম্পর্কে বলবেন না? হারেসা বদরের যুদ্ধে অজ্ঞাত তীরের আঘাতে শহীদ হয়েছিল। সে যদি জান্নাতবাসী হয় তাহলে আমি ধৈর্য ধরব। আর যদি অন্য কিছু হয় তাহলে তার জন্য বেশি করে কাঁদব। রাসুল (সা.) উত্তর দিলেন: হারেসার মা! জান্নাতে নানান প্রকারের জান্নাত আছে। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে,...
আল্লাহর ভয়ে ক্ষমতা ছাড়তে চেয়েছেন যিনি
মাইমুনা আক্তার

ইসলামের শুরু দিকে ঈমান আনা সাহাবিদের একজন হজরত উতবা ইবনে গাজওয়ান (রা.)। তাঁর দাবি অনুযায়ী তিনি ইসলাম গ্রহণকারী সপ্তম ব্যক্তি। তিনি দুটি হিজরতের গৌরব অর্জন করেছেন। বদর, উহুদ, খন্দকসহ প্রায় সব যুদ্ধেই রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। ১২ হিজরিতে ইয়ামামার যুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেন। ১৪ হিজরিতে খলিফা হজরত উমর (রা.) হজরত উতবা ইবনে গাজওয়ান (রা.)-কে ইরাকের উপকূলীয় বন্দর উবুলা, মায়সান এবং আশপাশের এলাকা জয় করেন। পরবর্তীতে দেখলেন, উবুলার স্থানীয় সংস্কৃতি বিজাতীয়, যা মুসলমানদের জন্য ক্ষতিকর ছিল। তাই হজরত উতবা (রা.) খলিফার কাছে মুসলমানদের জন্য পৃথক শহর নির্মাণের অনুমতি চান। বসরা ছিল ভারত ও পারস্যের জাহাজ-নোঙর স্থান, সেখানেই গড়ে তোলেন নতুন নগরীবসরা। তিনি আটশ লোক নিয়ে নগরীর ভিত্তি স্থাপন করেন। প্রতিটি গোত্রের জন্য পৃথক মহল্লা নির্ধারণ করেন। ঘরবাড়ি তৈরি হয়...
কোরবানির গরুর বয়স কত হওয়া জরুরি
অনলাইন ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে কোরবানির জন্য গরুর একটি বয়সসীমা নির্ধারিত রয়েছে। এটি নিশ্চিত করতে হয় যে, কোরবানির পশুটি শারীরিকভাবে পরিপক্ব ও সুস্থ-সবল কি না। এই প্রতিবেদনে আমরা জানব, গরু কত বছর বয়সে কোরবানির জন্য উপযুক্ত হয় এবং এর সত্যতা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়। কোরবানির জন্য গরুর উপযুক্ত বয়স কত? ইসলামী বিধান অনুসারে, গরু বা মহিষ কোরবানির উপযুক্ত হওয়ার জন্য তার বয়স কমপক্ষে দুই বছর (২৪ মাস) হতে হবে। দুই বছর পূর্ণ না হলে সেটি কোরবানির জন্য বৈধ বলে গণ্য হয়। অর্থাৎ দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগে কোনো গরু-মহিষ কোরবানি করা শরিয়াহ মোতাবেক সহিহ নয়। এই বিষয়ে হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, তোমরা (কোরবানির জন্য) মুসিন্নাহ ব্যতীত জবাই করো না। (মুসিন্নাহ হলো- ৫ বছর বয়সী উট, ২ বছরের গরু-মহিষ এবং ছাগলের ক্ষেত্রে ১ বছর (শরহুন নববি) যদি সম্ভব না হয় তবে ছয় মাস বয়সী ভেড়া...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর