আল্লাহ তাআলা তাঁর সত্কর্মশীল বান্দাদের জন্য জান্নাত তৈরি করেছেন। তাঁরা সেখানে অনন্তকাল অবস্থান করবেন। প্রথম নবী আদম (আ.) জান্নাত থেকে পৃথিবীতে এসেছেন। সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) মিরাজের রাতে স্বচক্ষে জান্নাত দর্শন করেছেন। জান্নাতের সত্যতা অস্বীকার করা কুফরি। কোরআন-হাদিসে জান্নাতের অপূর্ব নিয়ামতের অসংখ্য বর্ণনা আছে। তবে কোনো সাধারণ মানুষের জন্য দুনিয়ার জীবনে তা চোখে দেখা, কানে শোনা বা মনে কল্পনা করা সম্ভব নয়। এটি অকল্পনীয় এবং এর নিয়ামতগুলোও অকল্পনীয়। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ বলেছেন, আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য তৈরি করেছি যা কোনো চোখ দেখেনি, কোনো কান শ্রবণ করেনি এবং কোনো মানুষের অন্তর তার কল্পনা করেনি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩২৪৪) তাই জান্নাতের বিশালতা নিরুপণ করাও মানুষের সাধ্যের বাইরে।...
জান্নাতের বিশালতা কল্পনাতীত
মুহাম্মদ তাকরিম
নিজস্ব প্রতিবেদক

হজ কবুল হওয়ার আলামত
আহমাদ ইজাজ
নিজস্ব প্রতিবেদক

হজ কবুল হলো কি-না তা বোঝার জন্য নানা নিদর্শন আছে। কিছু নিদর্শন নিচে উল্লেখ করা হলো হজ কবুল হওয়ার অন্যতম বড় আলামত হলো, জীবনের মোড় ঘুরে যাওয়া; ঈমান ও আমলে দৃঢ়তা সৃষ্টি হওয়া। পার্থিবতা ও দুনিয়া-সংলগ্ন বিষয়-আশয়ের প্রতি অনীহা ও পরকালের প্রতি প্রবল আগ্রহ-লোভ সৃষ্টি হওয়া। হজ-পূর্ব জীবনে যেসব পাপ ও অন্যায়ের সংলগ্নতায় জীবযাপন করতে অভ্যস্ত ছিল সেগুলো থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়ে জীবনযাপন করতে শুরু করা। হজ কবুল হওয়ার আরেকটি আলামত হলো, আমল কবুল না হওয়ার ভয় করা। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) আমল কবুল হওয়া না হওয়ার ব্যাপারে খুবই শঙ্কিত থাকতেন। তাদের প্রসঙ্গেই পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : আর যারা যা দান করে, যা তাদের দেওয়া হয়েছে তা থেকে ভীত, কম্পিত হূদয়ে- এই বোধে যে তারা তাদের পালন কর্তার কাছে ফিরে যাবে। (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ৬০) যাবতীয় পাপাচার থেকে বিরত থাকা হজ কবুল হওয়ার আরেকটি...
ইহুদি নারীর বিষ মেশানো খাবারে নিহত হন যে সাহাবি
মাইমুনা আক্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিনি ছিলেন বারা ইবনে মারুর (রা.)-এর ছেলে। তাঁর নাম বিশর ইবনে বারা। তিনি আকাবার শেষ বাইআতে পিতার সঙ্গে রাসুল (সা.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। বদর, উহুদ, খন্দক ও খাইবারের যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাহাবিদের অন্যতম। পিতার মতো তিনিও গোত্রের সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। তাই পিতার ইন্তেকালের পর রাসুল (সা.) তাঁকেই বনু সালামা গোত্রের নেতা ঘোষণা করেন। খাইবার যুদ্ধের সময় এক ইহুদি নারী রাসুল (সা.)-কে হত্যার উদ্দেশ্যে ছাগলের গোশতের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাঁকে পরিবেশন করে। বিশর ইবনে বারা (রা.)-ও সেই খাবার খেয়েছিলেন। বিষক্রিয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। (সিয়ার আলামিন নুবালা, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৬৯; আল-ইস্তিইআব, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা: ১৬৭-১৭৮; আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খণ্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ১৬৭) সেদিন তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় যে, ইহুদি নারীর মেশানো বিষ কতটা ভয়ঙ্কর ছিল। কিন্তু মহান আল্লাহর দয়ায়...
শিশুদের সঙ্গে নবীজি (সা.) যেমন ছিলেন
মাওলানা মুহাম্মদ নোমান
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রিয় নবী (সা.) শিশুদের খুব আদর-স্নেহ করতেন। অন্যদের তাদের প্রতি কোমল আচরণের নির্দেশ দিতেন। তাদের সাথে দয়া ও সহানুভূতির আচরণের উপদেশ দিতেন। যারা শিশুদের সাথে দয়ার আচরণ করে না তাদের ভর্ত্সনা করতেন। তিনি বলেছেন, যে আমাদের ছোটদের প্রতি রহম করে না এবং আমাদের বড়দের অধিকারের প্রতি লক্ষ রাখে না, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৪৩; জামে তিরমিজি, হাদিস : ২০৩২) আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার নবী কারিম (সা.) তাঁর নাতি হাসান (রা.)-কে চুমু খেলেন। আকরা ইবনে হাবিস (রা.) পাশে বসা ছিলেন। তিনি বলেন, আমার ১০জন সন্তান। একজনকেও আমি কখনো চুমু দিইনি। নবী কারিম (সা.) তার দিকে তাকিয়ে বললেন, নিশ্চয়ই যে দয়া করে না তার প্রতিও দয়া করা হবে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস ৫৯৯৭; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৩১৮) শিশুদের অনুরাগ-অনুভূতির মূল্যায়ন করা নবী কারীম (সা.) শিশুদের চাহিদা ও...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর