স্পিরিট পানে পাঁচজনের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক  ৬

নোয়াখালী

স্পিরিট পানে পাঁচজনের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক ৬

অনলাইন ডেস্ক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে স্পিরিট পান করে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আশঙ্কাজনক ছয়জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

 শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসুরহাট বাজারের পান বাজার সংলগ্ন রফিক হোমিও হলের স্পিরিট পান করে এ ঘটনা ঘটে।

পাঁচজন মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান।

তিনি জানান, নিহতরা হলেন- উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাঁশ বেপারি বাড়ির নূর নবী মানিক (৫০), একই এলাকার ক্ষিরত মহাজন বাড়ির রবি লাল রায় (৫৫), মোহাম্মদনগর গ্রামের মহিন উদ্দিন (৪০), চর কাঁকড়া ইউয়িনের টেকের বাজার এলাকার আদুল খালেক (৫৮) ও সিরাজপুর ইউনিয়নের মতলব মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন মো. সবুজ (৬০)।

আশঙ্কাজনক ছয়জনের নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, পুলিশ জানার আগেই নিহত তিনজনের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে আরও দুইজনের দাফন এখনও সম্পন্ন হয়নি।

পরে পুলিশ খবর পেয়ে রবি লাল রায়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আরও একজনের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রফিক হোমিও হলের মালিক ডা. জায়েদ ও তার ছেলে প্রিয়ম দীর্ঘদিন ধরে দোকানে নেশা জাতীয় দ্রব্য স্পিরিট বিক্রি করে আসছিল। সে এই নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের পাশে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে।

ওসি আরিফুর রহমান বলেন, স্পিরিট পানে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও একজনের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

এর আগে, তিনজনের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় স্পিরিট বিক্রেতা ডা. জায়েদের ছেলে প্রিয়মকে আটক করা হয়েছে। তবে জায়েদ পলাতক থাকায় তাকে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান ওসি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)