খালেদের হাতে নির্যাতিত হতো আ.লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজের আধিপত্য ও মাদক কারবারির সুবিধার জন্য গেপ্তার হওয়া সাবেক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূইয়া নিয়মিতই হস্তক্ষেপ করত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকটি থানা কমিটিতে।

তার কথা না মানায় হামলা হয়েছে পল্টন থানার সভাপতির বাড়িতে। আক্রান্ত হয়েছে কর্মীদের পরিবারও। এমনকি প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়েছেন ছাত্রলীগের অনেক নিবেদিত কর্মীও।

নিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদক সামদানী হক নাজুমের প্রতিবেদনে উঠে আসে এসব অভিযোগের কথা।

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তার আলী রেজা খান রানা। স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী হিসেবেই পরিচিত পল্টন থানার এই সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক হিংসার জেরে ২০১৭ সালে তার বাসায় হামলা চালায় খালেদ মাহমুদ ভূইয়ার ক্যাডার বাহিনী।

এতে গুলিবিদ্ধ হন রানার বৃদ্ধ মা।

সেখানেই থেমে থাকেননি খালেদ, পরে কমিটি থেকে রানার নাম বাদ দিতে চাপ দেন পল্টন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. এনামুল হককে। কথা না রাখায় হামলা চলে তার বাড়িতেও।

মাদক ব্যবসার সুবিধার জন্য যুবলীগের পদ পাওয়ার আগে থেকেই ক্যাডার খালেদের চোখ পড়ে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের ছাত্রলীগ কমিটির উপর। কয়েকবার মেরে ফেলার চেষ্টা হয় তৎকালীন সভাপতি ও প্রতিভাবান ছাত্রনেতা সোহেল শাহরিয়ারকে। বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়েন সোহেল।

খালেদের নির্যাতন থেকে বাদ পড়েনি সোহেল পরবর্তী সভাপতি নুরুন্নবী অপুও। নির্দেশ না মানায়, ছাত্রলীগ কর্মী জিতুকে ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে খালেদের সন্ত্রাসী বাহিনী।

সময়ে সময়ে বড় বড় নেতাদের কাছে খালেদের এমন নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেও কোন সুরাহা হয়নি, বাধ্য হয়েই কেউ খালেদের হয়ে কাজ করেছেন, কেউ আবার পালিয়ে বেড়িয়েছেন। শুধু মানি লন্ডারিং, অস্ত্র আর মাদকেরই নয়, খালেদের এমন নির্যাতনেরও বিচার চান কর্মীরা।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)