বাড়বে ওমরা করার খরচ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর থেকে পবিত্র ওমরাহ পালনে যাওয়া ব্যক্তিদের গুনতে হবে অতিরিক্ত ১০-১৫ হাজার। উমরাহ্‌ ফি ৬ হাজার ৭৬৫ টাকা, সার্ভিস চার্জ ২ হাজার ৩০০, ভিসা সার্ভিস চার্জ ২ হাজার ২০০ টাকা নির্ধা রণ করায় বাড়বে এই খরচ।  

নির্ধারিত সময়ের দুই মাস পেড়িয়ে গেলেও শুরু হয়নি বাংলাদেশিদের উমরাহ পালন। গত বছরের চেয়ে এ বছর উমরাহ পালনের খরচ বাড়তে পারে ১০-১৫ হাজার টাকা।

হোটেল এবং গাড়ি ভাড়ার টাকা অনলাইনে জমা দেওয়াসহ নতুন নিয়ম যুক্ত করেছে সৌদি আরব।

আর উমরাহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খরচ বাড়লেও কমবে প্রতারণা সেবা পাবেন হাজীরা। সৌদি পক্ষ প্রস্তুত, অনলাইনে টাকা ট্রান্সফারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা পেলেই উমরাহ কার্যক্রম শুরু করবেন এজেন্সিগুলো।

বিগত বছরে সৌদি উমরাহ্‌ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫-৭ হাজার টাকা দিলেই মিলতো উমরাহ্‌ ভিসা।

কিন্তু এবছর সৌদি সরকার উমরাহ্‌ ভিসার উপর অতিরিক্ত ৬ হাজার ৭৬৫ টাকা ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেই সাথে মক্কা-মদীনায় হোটেল এবং সৌদিতে যাতায়াতের জন্য গাড়ি ভাড়ার টাকা আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং  হিসাব আইবিএএন এর মাধ্যমে পরিশোধের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

গত বছরে সর্বনিম্ন ৬৫ হাজার টাকায় উমরাহ পালন করা গেলেও এবার সেটা ৭৫-৮০হাজারে কোটা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর সৌদি সরকারের নতুন এই নিয়মককে স্বাগত জানিয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।

সৌদি সরকারের নতুন এই নিয়মের কারণে উমরাহ্‌ পালনের খরচ বাড়লেও প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। আগে কম টাকায় উমরাহ্‌ করতে এসে হোটেল এবং গাড়ি নিয়ে প্রতারণার শিকার হলেও নতুন নিয়মে সেটা রোধ হবে বলে মনে করেন এজেন্সি মালিকরা।

উমরা নিয়ে বিভিন্ন এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ নতুন নয়। অল্প টাকায় উমরার যাবতীয় দায়িত্ব নেওয়ার চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠকানোর কাজ প্রতি বছরই চলে। নানা কারণে সৌদি সরকার উমরাকে একটি সিস্টেমের মধ্যে আনতে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে। এমতাবস্থায় পত্রিকা কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের লোভনীয় ও আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন থেকে সাবধান থাকা দরকার। এসব প্রতারক এজেন্সি থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছেন খোদ ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের নেতারা।

৩ বছরের মধ্যে একাধিকবার উমরাহ্‌ পালনকারীকে অতিরিক্ত ৪৫হাজার টাকা দেওয়ার নিয়ম প্রত্যাহার এবং উমরাহ্‌ ভিসায় এসে অন্তত ১৪ দিন মক্কা-মদীনায় অবস্থানের পর সৌদি আরবের যেকোন শহরে ভ্রমণের সুযোগ দিয়েছে সৌদি আরব। এতে করে উমরাহ্‌ পালনকারীর সংখ্যা আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার বাড়বে বলে আশা করছেন সৌদি কতৃপক্ষ।

প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে দেড় লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান উমরাহ্‌ পালন করে থাকেন।