ইরানের আইআরজিসির কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার পর থেকে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্য একটা যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ইরানের পাল্টা হামলার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর প্রচার করেছে।দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, যারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী, সেই সব অপরাধীদের জন্য কঠিন প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সোলাইমানি হত্যায় জরুরি বৈঠক করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকার এটা জেনে রাখা উচিত এতো বড় অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে পশ্চিম এশিয়ায় তারা সবচেয়ে বড় কৌশলগত ভুল করেছে।
ইরানের হুমকীর ব্যাপারে নিউইয়র্কের মেয়র বিল ড্য ব্লাসিনো জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ইরান বা তাদের সন্ত্রাসী মিত্রদের যেকোনও হামলা ঠেকাতে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
টুইট বার্তায় তিনি বলেন, এই হুমকি মোকাবিলায় দীর্ঘদিন সজাগ থাকবে শহর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর নিরাপত্তা বাড়াতে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শাদ ওলফ বলেছেন, এখন পর্যন্ত কোনও হুমকি শনাক্ত না হলেও যেকোনও কিছুর জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জানানো হয়, ইরানের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বড় শহরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এসব শহরের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
এদিকে ইরান যাতে জেনারেল সোলায়মানির হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ না নেয় সেজন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তুরস্কের ইংরেজি দৈনিক সাবাহ শনিবার এ খবর দিয়েছে।
ওই পত্রিকায় ইরানের সাবেক কূটনীতিক আমির আল-মুসাভি সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একজন আরব মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে আমাকে অনুরোধ করা হয়েছে যে, আমেরিকা যে অপরাধ করেছে তার জন্য ইরান যেন কোনো প্রতিশোধ না নেয়। এর বিনিময়ে আমেরিকা ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে।
‘তাকে দেওয়া বার্তায় বলা হয়েছে ইরানের উপর থেকে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ’
মুসাভি বলেন, আমি মনে করি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রস্তাব ইরানের ক্ষোভ প্রশমিত করবে না। কারণ আমেরিকা এ পর্যন্ত যত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার সবই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এ মুহূর্তে আমেরিকা শুধু ইরানের ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)