‘যেখানে যা ঘটুক তা ‌‌‘মেড ইন আমেরিকা’ বলা উচিৎ’

‘যেখানে যা ঘটুক তা ‌‌‘মেড ইন আমেরিকা’ বলা উচিৎ’

অনলাইন ডেস্ক

কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর ক্ষণে ক্ষণে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ। বিশ্বব্যাপী আমেরিকার অপরাধমূলক তৎপরতার সমালোচনা করে তা প্রতিরোধে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, বিশ্বের যেখানে যে অপরাধ ঘটুক না কেন তাকে ‘মেইড ইন আমেরিকা’ বলে আখ্যায়িত করা উচিত।

যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রিমিনাল আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আজকের দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় ক্রিমিনাল হচ্ছে আমেরিকা।

ইসরাইল পশ্চিম এশিয়ায় যে অপরাধযজ্ঞ সংঘটিত করছে তা আমেরিকার ছত্রছায়ায় করছে।  

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের হুঁশিয়ারি দিয়ে হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, পশ্চিম এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার যত সামরিক ঘাঁটি আছে তার প্রত্যেকটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে। ইরাকের আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে ফতেহ-৩১৩ নিখুঁতভাবে আঘাত হেনেছে।  

মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর জন্য তিনি ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, এই হামলার মধ্য দিয়ে ইসরাইলের জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় বালবেক শহরে হিজবুল্লাহ সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তৃতায় সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ একথা বলেন। তার বক্তব্য টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।  

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বোকা আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, জানতে হবে যে, তেল আবিব ভুল জায়গায় হাত দিয়েছে।

‘মার্কিন নেতাদের দিকে তাকান, এদের চেহারায় কি বিজয়ের ছাপ আছে? এরপর তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন আরবি ভাষার গণমাধ্যমে পারস্য উপসাগর সম্পর্কিত খবর দেখবেন তখন তিনি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেবেন না।

হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, আইন আল-আসাদে ইরান যা করেছে তার শুধুমাত্র আমেরিকানদের মুখে একটি চপেটাঘাত, এটি জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার পুরো প্রতিশোধ নয়। এটি হচ্ছে প্রথম পদক্ষেপ যা চূড়ান্তভাবে পশ্চিম এশিয়া থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির অবসান ঘটাবে।

জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুকে সবচেয়ে বড় বিজয় মনে করে সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, এর মাধ্যমে আমেরিকার চেহারা সবার কাছে উন্মোচিত হয়ে গেছে। জেনারেল সোলাইমানির  ‍মৃত্যু অবশ্যই এ অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা সম্পূর্ণভাবে বহিষ্কারের পথে আমাদেরকে এগিয়ে নেবে।

হিজবুল্লাহর প্রতি ইরানের কমান্ডারদের আন্তরিক সমর্থনের প্রশংসা করে হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, ইরানি সেনাদের নিশ্চিত সমর্থন পেলেই শুধুমাত্র হিজবুল্লাহ শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

‘জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ব্যক্তিগতভাবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিলেন। তিনি যদি এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই না করতেন তাহলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে উগ্র সন্ত্রাসীদের কবলে পড়তে হতো। ’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর