এশিয়ার দুই ও আফ্রিকার ৪ দেশ পাবে না যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা

এশিয়ার দুই ও আফ্রিকার ৪ দেশ পাবে না যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা

অনলাইন ডেস্ক

মার্কিন ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো ছয়টি দেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর মধ্যে এশিয়ার দুইটি ও আফ্রিকার চারটি দেশ রয়েছে। আফ্রিকার দেশ হলো- নাইজেরিয়া, ইরিত্রিয়া, সুদান ও তানজানিয়া। এশিয়ার দেশ- মিয়ানমার ও কিরগিজিস্তান।

ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্য, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘শর্ত পূরণ না করায়’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে এসব দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ অনেক কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ক্ষমতায় আসার পর ২০১৭ সালে প্রথমে কয়েকটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প। বর্তমানে সাতটি দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বন্ধ রয়েছে।

এসব দেশের অধিকাংশই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ।

নতুন করে ছয়টি দেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের কারণ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শাদ ওলফ জানান, এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে বেঁধে দেওয়া শর্ত পূরণ করতে পারেনি।

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়। নতুন নিষেধাজ্ঞার ব্যাখ্যায় ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ তৈরি হবে, এমন কোনো ভিসা এই ছয়টি দেশের নাগরিকদের দেওয়া হবে না। তবে এসব দেশের বাসিন্দারা পর্যটক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করতে পারবেন। এ ছাড়া চিকিৎসার জন্যও ভিসা দেওয়া হবে।

গত সপ্তাহে ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকা দীর্ঘ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মাতৃভূমির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ’

সমালোচকরা বলছেন, নতুন এই নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের মুসলিমবিরোধী এজেন্ডারই অংশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘আমেরিকা সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন’ (এসিএলইউ) তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর মুসলিমবিরোধী মতাদর্শকে আরো উগ্রতার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আর এ ক্ষেত্রে তিনি ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে অস্ত্র বানিয়েছেন। ’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনজিও ‘রিফিউজি ইন্টারন্যাশনাল’ বলেছে, ‘জাতীয়তা, ধর্ম কিংবা বর্ণের ভিত্তিতে বৃহৎ পরিসরে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো মানে হয় না। ’

এদিকে এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কিরগিজিস্তান। গতকাল মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে পাঠায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাকি দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর