আবাসন খাতে জাপানকে বিনিয়োগের আহবান বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের

আবাসন খাতে জাপানকে বিনিয়োগের আহবান বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের

অনলাইন ডেস্ক

দেশের আবাসন খাতে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। তিনি বলেছেন, দেশের মধ্যবিত্তের জন্য বিপুল ফ্ল্যাটের চাহিদা রয়েছে। কম সুদে জাইকা এই খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। এজন্য সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে বলে আশা করেন তিনি।

 

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জাপান স্ট্রিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতু। অন্যদের মধ্যে ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান সাদাত সোবহান, জেমস্ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও জেসিএক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল।   

আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, আমি জাপানি বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস দিচ্ছি; আমরা আপনাদের দীর্ঘ মেয়াদে জমি দেবো।

আমরা আশা করি, এখানে প্রতিবছর ন্যূনতম ৫ শতাধিক ফ্ল্যাট বিক্রি হবে।  

আবাসন খাতে সরকারের প্রণোদনার কথা উল্লেখ করে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সরকারও ব্যবসাবান্ধব। আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা ভীষণ খুশি। প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন খাতে বিনিয়োগের জন্য ২০ বছর মেয়াদে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে ১৪ লাখ সরকারি কর্মকর্তা এই খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন।  

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে আবাসন খাতে বসুন্ধরা সবচেয়ে বড় আবাসন প্রকল্প। এখানে কোনো অনিময় ও বিশৃঙ্খলা নেই। কোনো সমস্যা হলেও আমদের নিরাপত্তা কর্মীরা এ ব্যপারে সর্বদা সতর্ক থাকেন।  

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুন্দর পরিবেশ এখানে। আমাদের ব্যবস্থাপনাকে এমন ভাবেই ঢেলে সাজানো হয়েছে।  

বাংলাদেশের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে আহমেদ আকবর বলেন, আমি জাপানের রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এখানে জাইকার মাধ্যমে ২ থেকে ৩ শতাংশ হার সুদে বিনিয়োগ করলেও, আপনাদের জন্য তা লাভজনক হবে।  

জাপান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে বড় অংশীদার উল্লেখ করে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের অবকাঠামো, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় জাপানের জন্য নির্মাণাধীন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বড় বড় প্রকল্পে জাপানের বিনিয়োগ রয়েছে। এজন্য দেশটির কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।  

তিনি বলেন, আমি সাধারণত কোনো ধরনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাই না। যখন জাপানের কথা শুনেছি, তখন না এসে পারিনি। বলেন, জাপান বাংলাদেশের দীর্ঘ সময়ের পরিক্ষিত বন্ধু। আমাদের আশা, এই সম্পর্ক চিরদিন অটুট থাকবে। উদ্বোধন হওয়া এই সড়কে (জাপান স্ট্রিটে ) আমি প্রতিদিন হাঁটি। এখন এই সড়কটি জাপানের নামে উৎসর্গ করা হলো।  

জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতু বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরিক্ষিত অর্থনৈতিক বড় অংশীদার। আমার জানামতে, বাংলাদেশে ‘জাপান স্ট্রিট’ নামে কোনো সড়ক নেই। এই সড়ক নাম করনের সঙ্গে যারা জড়িত; তাদের সবার কাছে আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ। অবশ্যই এজন্য বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের কাছে কৃতজ্ঞ। এটা জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি মাইল ফলক।  

তিনি বলেন, এই বছর মুজিব বর্ষ। আগামী বছর বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী। আর এর পরের বছর অথাৎ ২০২২ সাল হবে জাপান-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর। আমাদের আশা এই সময় থেকে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর