করোনা আক্রমণ করে মানুষের নাক ও আশেপাশের ঝিল্লিতে

করোনা আক্রমণ করে মানুষের নাক ও আশেপাশের ঝিল্লিতে

খুজিস্তা নূর-ই–নাহারিন

প্রায় ১২৫ বছর আগে আমার টগবগে যুবক দাদা তিনটি শিশু সন্তান সহ প্রায় কিশোরী স্ত্রীকে একা ফেলে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় পরপারে পারি জমিয়েছিলেন। আমার দাদী ১০০ বছরের অধিকাল সময় বেঁচে ছিলেন, সম্পূর্ণ একা। লড়াই সংগ্রাম করে তিন সন্তানকে মানুষ করেছিলেন ঠিকই কিন্তু নিজের জীবন পুরোটাই আত্মত্যাগের করুণ ইতিহাস। আমার রক্তে মিশে আছে মহামারী অজানা রোগ নিয়ে ভয় আর শঙ্কা, দাদীর অসহায় মুখ।

ডাক্তার না হওয়া সত্ত্বেও করোনা নিয়ে এতো কথা বলার সাহসের পেছনে এটাও একটি কারণ। মানুষের মাঝে সচেতনা সৃষ্টির প্রয়াস। সারাক্ষণ খুঁজতে থাকি এই রোগের কোনো চিকিৎসা পাওয়া যায় কি না।

ইউটিউবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী করোনা ৫৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড বা ১৩৩ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রায় বেঁচে থাকতে পারে না।

আমাদের দেশে বর্তমান তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রীরও কম।

মানুষের নাক এবং নাকের আশেপাশের ঝিল্লিতে করোনার আক্রমণ প্রথম শুরু হয়। যা পরবর্তীতে জ্বর, সর্দি সহ ভয়াবহ শ্বাস কষ্টের কারণ ঘটায়।

যাদের পক্ষে সম্ভব স্টিম এবং সনা রুমে যেয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট এই তাপমাত্রা শরীরে লাগাতে পারেন, গরম নিঃশ্বাস ভেতরে টানতে পারেন।

কিন্তু সবার পক্ষে সম্ভব নয় তাঁরা সূর্যের আলোতে কিংবা বাসায় চুলার ধারে ১৫ থেকে ২০মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে এই তাপমাত্রা শরীরে লাগাতে পারেন।

বিশেষ করে গরম বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসকে মেরে ফেলা যায় বলা হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে চুল শুঁকানোর মেশিন কিংবা হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে নাকের মধ্যে গরম বাতাস দিলেও নাকি এই রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

দিনে কয়েকবার সরাসরি গরম পানি কিংবা তোয়ালে দিয়ে গরম পানিতে ভাপ নিলেও নাকে এই ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে পারে।

এই কথা গুলো সত্যি হলে স্বামী রামদেবের কথা অনুযায়ী ব্রিদিং এক্সারসাইজ বা নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম অথবা যে কোন কঠিন কায়িক বা শারীরিক অনুশীলন যা নিঃশ্বাসকে গরম রাখে যেমন সাইক্লিং, রানিং বা দৌড়ানো, সুইমিং বা সাঁতার কিংবা অ্যারোবিক যে কোনো ধরণের ব্যায়াম যা শরীরকে ঘামায়, হয়রান করে, ক্লান্ত করে তা শরীরকে সুস্থ, সতেজ রাখার পাশাপাশি করোনার আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হতে পারে।

গরম পরিবেশ, লূ হাওয়া করোনার বিপক্ষে লড়তে পারে বিধায় আমাদের এসি পরিহার, এবং গরম পানি পান করা জরুরি বলে মনে করি।

কানাডা, অ্যামেরিকা, ব্রিটেন সহ ইউরোপের অনেকে এখন ভিটামিন সি, ভিটামিন বি এর সাথে জিঙ্ক টেবলেট খাওয়া শুরু করেছে ইমিউনিটিকে বুস্ট কিংবা শারীরিক রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য।

যাদের সাধ্য আছে তাঁরা বিভিন্ন রঙের সবজীর সংমিশ্রণে সবজী তথা সুষম খাবার খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে শোনা যায়।

যে যেখানে আছেন, সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

লেখক: সম্পাদক, পূর্বপশ্চিমবিডি.কম

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর