নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৪১ পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টানে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসন, থানা-পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা এখন গ্রামে-মহল্লায় ছড়িয়ে আছে। কয়দিনে তাদের তৎপরতায় ওই পরিবারগুলোকে বাড়ি থেকে বেড় না হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ ঢাকা থেকে শনিবার ভোরে আসা গুরুতর অসুস্থ গার্মেন্টস শ্রমিক জহুরা বেগম ও তার স্বামী সাইদুল ইসলাম উত্তর নারি বাড়ি মহল্লার বাবা জয়নাল আবেদীনের বাড়ি আসলে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করে।
পরে ওসি মোজাহারুল ইসলাম ও টিএইচএ ডা. মুজাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বাহিরে না যাওয়ার নির্দেশ দেন।
এ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। বর্তমানে জহুরা তার বাবার বাড়ি থেকে স্বামী সাইদুলের বাবার বাড়ি উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের বাবলাতোলা গ্রামে চলে গেছে বলে জানা গেছে।
সৌদি থেকে দেশে আসা জান মোহাম্মদ জানান, তার শরীরে কোনো সমস্যা নেই।
পরিবারকে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ঘটনা জানার পর সেখানে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নিয়ে বাহিরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে ৪২ পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, উত্তর নারি বড়ির গার্মেন্টস শ্রমিক জহুরা বেগম ও তার স্বামী সাইদুল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলার
সর্বস্তরে হাসপাতালের ৪৫জন কর্মী ছড়িয়ে রয়েছে। যে কোনো খবর পাওয়া মাত্রই তারা দ্রুত সেখানে যাচ্ছেন এবং চিকিৎসা নিশ্চিত করছেন। তাছাড়া সার্বক্ষণিক একটি টিম হাসপাতালে প্রস্তুত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন জানান, তার উপজেলা নজরদারির ভেতরে রয়েছে। করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)