কোথাও করোনার কার্যকর ওষুধ ঘোষণা হয়নি, বাংলাদেশে হচ্ছে

কোথাও করোনার কার্যকর ওষুধ ঘোষণা হয়নি, বাংলাদেশে হচ্ছে

শওগাত আলী সাগর

গণস্বাস্থ্যের কিটটির কার্যকারিতা নিয়ে পরীক্ষার কত দূর এগুলো কেউ জানেন কি ? দুই একদিন আগে ডা. জাফরউল্লাহ দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ তুলেছিলেন। তারপর আর কোনো কথা নেই। বাংলাদেশে যখন করোনাভাইরাসের পরীক্ষা দ্রুত করা যাচ্ছে না, তখন এই কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার নামে দীর্ঘসূত্রতা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এটি যদি কাজ না করে সেটিও পরীক্ষা করে জানিয়ে দেওয়া হোক।

আরেকটা প্রশ্ন করি, করোনার চিকিৎসার নামে ওষুধ প্রশাসন যে নানা ওষুধের অনুমতি দিচ্ছেন, সেগুলো কিসের ভিত্তিতে দিচ্ছেন ? সেগুলোর কি পরীক্ষা হয়েছে ? হয়ে থাকলে এতো দ্রুত কীভাবে সম্ভব হলো ? আর পরীক্ষা না হয়ে থাকলে সেগুলো কীভাবে অনুমতি পেলো ? প্যাকেটের গায়ে ‘করোনার চিকিৎসায় কার্যকর’ লেখা যে ওষুধটি হাসপাতালে যাচ্ছে- সেটিকে কীভাবে, কিসের ভিত্তিতে অনুমতি দেওয়া হলো ?

বিশ্বের কোথাও এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধকে করোনার কার্যকর ওষুধ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়নি, অথচ বাংলাদেশে সেটি হচ্ছে। মিডিয়া এখন পর্যন্ত কোনোটা নিয়েই কোনো প্রশ্ন তোলেনি, বরং ফলাও করে প্রচার করে যাচ্ছে। এটা কীভাবে সম্ভব ?

কার্যকারিতা, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা না করেই কিংবা স্বল্পতম সময়ে পরীক্ষা করে (এতোটা স্বল্প সময়ে কীভাবে এই পরীক্ষাগুলো করা সম্ভব!) যদি তথাকথিত করোনার ওষুধের অনুমতি দেওয়া যায় তা হলে করোনা ভাইরাসের টেস্টের জন্য গণস্বাস্থ্যের কিটটির পরীক্ষা করা যাবে না কেন ?

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, নতুন দেশ ডটকম।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর