আম, জাম, কাঁঠাল, উড়িআম প্রভৃতি গাছ কেটে করাত দিয়ে চিরে তক্তা বানানোর কৌশল মহাএলেমদার জ্ঞান বটে। কারিগরেরা করাত দিয়ে কাঠ কেটে কেটে তক্তা বানায় বলে এদেরকে করাতি বলে। গোপালগঞ্জের স্থানীয় ভাষায় এদেরকে ঢাওই বলা হয়। ঢাওইদের ওস্তাদি হাতযশে আমাদের বাড়িতে এদের যারপর নাই কদর ছিল।
তখনো গঞ্জে বা হাট বাজারে করাত কল স্থাপিত হয় নাই তাই বংশানুক্রমিক মুন্সিয়ানার জয়জয়কার ছিল।একদিন দেখলাম- বাড়িতে সকালে একদল ঢাওই এসে হাজির। তাদের কথাবার্তার টান বড় মধুর। এ ওকে বড়দা ছোড়দা বলে সম্বোধন করছে।
সকালের নাস্তা নিজেরা রান্না করে খেতে বাকি একজন রান্নার কাজে ব্যস্ত। রান্নাশেষে চারটে বাসনে করে ফেনা ভাত বেড়ে এনেছে। গরম গরম ফেনা ভাত গোগ্রাসে গিলছে আর জিহ্বা পোড়ার শব্দ করছে। বললাম- দাদা কী হয়েছে? ঢাওই দাদা বলতে লাগলেন- অলে আর রতে পারিনা, গরম গরম খাতে আরিনা। বললাম- কিছু লাগবে দাদা? বললেন- আহানে একটু তেঁতুল অলে খাতি ভালো অতো। আমি খানিক বুঝে আর খানিক না বুঝে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছি। আব্বা বললেন- ওরা তেঁতুল দিয়ে জাউ খাবে, তেঁতুল নিয়ে আয়।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল