মত প্রকাশে বাধায় জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ

মত প্রকাশে বাধায় জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ

অনলাইন ডেস্ক

নভেল করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারির সময় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে মত প্রকাশে বাধা, বিধি-নিষেধ ও হয়রানিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ।  

গতকাল বুধবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্ল্যাশেলেট এক বিবৃতিতে ওই উদ্বেগ জানান। তিনি বলেন, মিথ্যা তথ্য প্রচার ঠেকাতে যেকোনো উদ্যোগ অবশ্যই সংগতিপূর্ণ হতে হবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের প্রধান মিশেল ব্ল্যাশেলেট বলেন, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের অনেক দেশ অনলাইন গণমাধ্যম ও ‘ভুয়া খবর’ ঠেকাতে যেসব আইন প্রণয়ন করেছে, সেগুলোর ব্যাপারে মানবাধিকারের প্রশ্নে উদ্বেগ আছে।

তিনি দাবি করেন, এসব আইন ভিন্নমত ঠেকাতে, বিশেষ করে সরকারের নীতির সমালোচনা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা দমনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জনস্বাস্থ্যের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে যেকোনো ব্যবস্থা অবশ্যই বৈধতা, প্রয়োজনীয়তার নিরিখে এবং সর্বনিম্ন হস্তক্ষেপমূলক হওয়া উচিত।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, ‘কভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারের উদ্যোগের সমালোচনা বা মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে গত তিন মাসে বাংলাদেশে ডিজিটাল

নিরাপত্তা আইনের আওতায় কয়েক ডজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বা তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ’

তিনি বলেন, স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী, কিছু স্বাস্থ্য পেশাজীবীর পাশাপাশি সাধারণ লোকদের অনেকে স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়া, অপর্যাপ্ত সুবিধা বা ত্রাণ বিতরণ নিয়ে অনিয়মের কথা বলায় হয়রানি বা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক বা অন্য পর্যবেক্ষকরা শারীরিক আক্রমণেরও শিকার হয়েছেন।

চীন প্রসঙ্গে মিশেল ব্ল্যাশেলেট বলেন, সেখানে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কর্তৃপক্ষের ভূমিকার সমালোচনা করায় চিকিৎসা পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ ও সাধারণ নাগরিককে আটক করার অভিযোগ রয়েছে। ভারতেও করোনা মোকাবেলায় সরকারের উদ্যোগের সমালোচনা করায় অন্তত একজন চিকিৎসক ও কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মিশেল ব্ল্যাশেলেট মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামেও করোনা মহামারির সময়ে মতপ্রকাশে বাধার অভিযোগ করেছেন।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল