পাহাড়ে ক্রেতাশূন্য পশুর হাট

পাহাড়ে ক্রেতাশূন্য পশুর হাট

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

ঈদের বাকি মাত্র ৫দিন। আগেভাগে প্রস্তুত করা হয়েছিল রাঙামাটির পশুর হাটগুলো। দূর পাহাড় থেকে আনা হয় হরেক রঙের গরু, মহিষ ও ছাগল। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে পশুর নাম রাখা হয় টাইগার, কিং, সম্রাটসহ বিভিন্ন নাম।

তবুও চাহিদা না থাকায় হতাশ ব্যাপারীরা। তাই বাকি দিনগুলোতে নাজমলে হাট, মাতায় পড়বে হাত বলছে গরুর মালিকরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ঈদ-উল-আযহার অর্থাৎ কোরবানির ঈদকে ঘিরে রাঙামাটি শহরের বসানো হয় বিশাল আকারের পশুর হাট। আর এ হাটে স্থান পায় বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, লংগদু, বরকল ও নানিয়ারচর উপজেলার গরু, মহিষ ও ছাগলগুলো।

চাহিদা বেশি থায়, বেশি দামের আশায় শহরমুখি হতো পাহাড়ের গরু ব্যাপারীরা। কিন্তু এ বছর চিত্র ভিন্ন। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও রাঙামাটির পশুর হাটগুলোতে পাহাড় থেকে আনা হয় হরেক রঙের গরু। কিন্তু হাটের আশপাশেও নেই ক্রেতা। তাই জমেনি হাট।

এ ব্যাপারে কথা হয় গরু ব্যাপারি জ্যোতিময় চাকমার সাথে। জুরাছড়ি থেকে তিনি মাত্র সাতটি গরু নিয়ে আসেন রাঙামাটি শহরের পশুর হাটে। কিন্তু গেল এক সপ্তাহে বিক্রি করতে পারেনি একটিও। গরুর দামও সাধারণ মানুষের নাগালের ভেতর। তার প্রতিটি গরুর দাম ৩৫ থেকে ৭০হাজার টাকার মধ্যে। কিন্তু তাতেও মানুষের চাহিদা নেই। তাই গরু নিয়ে অনেকটা বিপাকে তিনি।

একই অবস্থা সফিকুল ইসলামের। লংগদু উপজেলার মাইনি থেকে ছয়টি গরু নিয়ে আসে রাঙামাটি পৌর ট্টাক টার্মিনাল পশুর হাটে। কিন্তু একটি গরুরও দাম-দর করেনি কেউ। কষ্টে লালন করা পশু বিক্রি করতে না পেরে হতাশ তিনি।
পশুর চাহিদা না থাকার কারণ হিসেবে করোনাকালকে দুষছেন পশু ব্যবসায়ীরা। করোনার কালো থাবায় এ কোরবানি ঈদকেও ম্লান করেছে বলছে গরু ব্যাপারী আমির হোসন। বেশি লাভের আশায় গরুর মালিকদের কাছ থেকে কিনেছিল ৫০টি গরু। কিন্তু সে গরুর প্রতি মোটেও আকর্ষণ নেই স্থানীয়দের। তবুও হাল ছাড়তে নারাজ তিনি শেষ মুহূর্তে গরু বিক্রি অপেক্ষায় তিনি।

এবার রাঙামাটিতে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম রাখা হয় গরুর।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর