ঠাকুরগাঁওয়ে কুমির আতঙ্কে জেলেরা

ঠাকুরগাঁওয়ে কুমির আতঙ্কে জেলেরা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলার ভারত সীমান্ত সংলগ্ন নাগর নদীতে কুমিরের দেখা মিলেছে। কুমির গুলো লম্বায় ৬-৭ ফুট। কোনটা আবার আকারে ছোট। কুমির দেখার পর জেলেরা প্রাণের ভয়ে মাছ ধরতে নদীতে নামছেন না।

আতঙ্কে আছেন গ্রামবাসীরাও ।

স্থানীয়রা জানান, (সোমবার ২৪ আগষ্ট) বিকেলে ওই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে আকস্মিক দেখতে পায় ওই নদীতে একটি কুমির ভাসছে। কুমির দেখে জেলেরা চিৎকার করলে এলাকার শত শত মানুষ সেখানে ছুটে আসে। তবে অনেক মানুষের সমাগম দেখে মুহূর্তের মধ্যে কুমিরটি পানিতে ডুব দিলে আর দেখা যায়নি।

এবিষয়ে পাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না কুমিরটি কোথায় অবস্থান করছে।

অন্যদিকে ৬-৭ দিন আগে হরিপুর উপজেলার যাদুরাণী এলাকায় একই নদীতে স্থানীয়রা কুমির দেখতে পায়।

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ডাবরী বিওপির কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান বলেন, ৫/৬ টা কুমির দেখা মিলেছে। এজন্য স্থানীয় জেলেদের নদীতে নামতে সতর্ক করেছেন।

এ ব্যাপারে গেদুরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ জানান, এ বছর বন্যায় এলাকা প্লাবিত হয়, বন্যার পানিতে কুমিরগুলো ভারত থেকে এই নদীতে ঢুকে পড়ে। এখন নদীর পানি কমে যাওয়ায় কুমিরগুলো  নিরাপদ আশ্রয় ও খাবারের জন্য ছুটোছুটি করছে।

বরুয়াল গ্রামের আব্দুল জব্বার বলেন, এলাকার ৫০টি পরিবার নদীতে মাছ ধরে সংসার চালায়। কুমির দেখে এখন তারা নদীতে নামতে সাহস পাচ্ছে না। এ ছাড়া কৃষকরা নদীর ওপারে গিয়ে ক্ষেত খামারের পরিচর্চা করতে এবং গবাদিপশুকে ঘাস খাওয়াতে যেতে  ভয় পাচ্ছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বন বিভাগের কর্মকর্তা হরিপদ দেবনাথ বলেন, ৩ দিন আগে কুমির দেখা মিললেও এখন নেই।

জেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা আফতাব হোসেন বলেন, সরেজমিন দেখে জেলেদের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল