ইউএনও’র বাড়িতে চুরি করতে গিয়েছিলাম: আসাদুল

ইউএনও’র বাড়িতে চুরি করতে গিয়েছিলাম: আসাদুল

রেজাউল করিম মানিক, রংপুর

দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও'র বাসায় চুরি গিয়েছিরো বলে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে আটক আসাদুল ইসলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় র‌্যাব -১৩ এর অধিনায়ক কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন।

তবে এই চুরির আকাঙ্ক্ষাকেই মোটিভ হিসেবে পুরোপুরি মেনে নিয়ে চুপচাপ থাকেতে চাইছে না র‌্যাব। তারা মোটিভ উদ্ধারে আরো তদন্ত করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে।


আরো পড়ুন: 

ইউএনও’র ওপর হামলা রাষ্ট্রের জন্য ভালো নয়: ফখরুল


 

রেজা আহমেদ ফেরদৌস আরো জানান, ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হযয়েছে। র‌্যাব শুরু থেকে এ ঘটনায় ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। একপর্যায়ে আসাদুলকে শুক্রবার ভোরে হিলির কালীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  
পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী  শুক্রবার দিনভর অভিযান চালিয়ে নবীরুল ও সান্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়।


প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে তারা চুরির উদ্দেশ্য ওয়াহিদা খানমের বাসায় যায় এবং নবীরুল ওয়াহিদা খানমের মাথায় আঘাত করে বলে জানিয়েছে। তবে ঘটনার নেপথ্যে আরও কোনো কারণ আছে কিনা তা জানতে সময় লাগবে। অভিযুক্তদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


আরো পড়ুন: 

ইউএনও’র ওপর হামলা: গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতাদের বহিষ্কার


 

বহিস্কৃত ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক জাহাঙ্গীরসহ আরও তিনজনকে আটক করলেও তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরা হলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) জাহাঙ্গীর আলম (৪২), উপজেলা যুবলীগের সদস্য (বহিষ্কৃত) আসাদুল ইসলাম (৩৫), শিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা আদুর ছেলে মাসুদ রানা (৪০), নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশ (৩৮), চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকার মৃত ফারাজ উদ্দিনের ছেলে রং মিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার খোকার ছেলে সান্টু চন্দ্র দাস(২৮)।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ