শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে প্রতিবছর বরাদ্দ ৫০ কোটি টাকা; তবুও সীমাহীন দুর্ভোগ

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে প্রতিবছর বরাদ্দ ৫০ কোটি টাকা; তবুও সীমাহীন দুর্ভোগ

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

পদ্মা নদীতে প্রায় সারা বছরই ড্রেজিং চলে। তবুও দেশের অন্যতম বড় নৌরুট শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ীতে নাব্য সংকট আর ডুবোচরে ফেরি আটকে যাওয়া নিয়মিত খবর।  

এ জন্য মাঝ নদীতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাতায়াতকারীদের। দুপাড়ে আটকে থাকে শত শত যানবাহন।

অথচ রুটটি চালু রাখতে প্রতিবছর ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

পদ্মার বুকে এভাবেই চলে ড্রেজিং। নদী সচল রাখতে প্রতিবছর ড্রেজিং করা বালি ফেলা হয় চরের বুকে। বর্ষায় আবার এই বালিই স্রোতের সাথে মিশে যায় নদীতে।

এভাবে বুমেরাং হয়ে ওঠে ড্রেজিং কার্যক্রম।

গেলো সপ্তাহে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ডুবোচর ও নাব্য সংকটের কারনে বিধিনিষেধ আরোপ হয় ফেরি চলাচলে। প্রথমে রাতে এবং পরে দিনেও বন্ধ করে দেয়া হয় ফেরি। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। ড্রেজিং করেও সুফল না মেলায় সংশ্লিষ্টদের অদক্ষতাকে দুষছেন পরিবহন চালক ও সাধারণ মানুষ।

বিআইডব্লিউটিএ-এর ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমানের দাবী, নৌপথ সচল রাখতে কর্মকর্তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিগগির এই সমস্যার সমাধান হবে।


আরও পড়ুন:

নাব্যতা সংকটে পঞ্চম দিনের মত শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি চলাচল বন্ধ


পদ্মা সেতুর চায়না চ্যানেলে দিনের আলোতে ফেরিসহ নৌযান চললেও তা সেতুর জন্য সমস্যা তৈরি করবে না বলে জানান সেতুর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র স্পেশালিস্ট এটিএম কামাল হুসাইন।

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি, দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে ১৭টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও দেড়শ-র বেশি স্পিডবোট চলাচল করে।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ