যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও চীনের হুঁশিয়ারি

যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও চীনের হুঁশিয়ারি

অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণ চীন সাগরের পানিসীমা নিয়ে মতবিরোধে হস্তক্ষেপের ব্যাপারে আমেরিকাকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে চীন। বেইজিং বলেছে, ওয়াশিংটন উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে যা এই কৌশলগত অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে ‘সবচেয়ে বড় বিপজ্জনক’ উপাদান হিসেবে কাজ করছে।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আসিয়ান জোটের শীর্ষ সম্মেলনে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে দেয়া এক বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন।

ওয়াং বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা চীনের  কাছে কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে।

এছাড়া, এই অঞ্চলকে ঘিরে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো এবং চীনের অভিন্ন কৌশলগত আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।

তিনি বলেন, এই আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমেরিকাসহ সব বহিঃশক্তি সম্মান প্রদর্শন এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করে তা থেকে ফায়দা লোটা বন্ধ করবে বলে চীন আশা করছে।

চীনের শীর্ষ কূটনীতিক অভিযোগ করেন, চীনসহ আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো যখন সংলাপের মাধ্যমে তাদের পানিসীমা নিয়ে মতবিরোধ নিরসনের চেষ্টা করছে তখন আমেরিকা এসব দেশের মধ্যে মতবিরোধ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

মার্কিন সরকার গতমাসে চীনের ২৪ নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ ও সামরিক তৎপরতার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করে ওয়াশিংটন। এই বিরোধপূর্ণ পানিসীমাকে কেন্দ্র করে এই প্রথম ওয়াশিংটন বেইজং-এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিল।

বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে। সম্পদ-সমৃদ্ধ এ অঞ্চলের মালিকানার অন্যান্য দাবিদার দেশ হচ্ছে ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম। মার্কিন সরকার এই দ্বন্দ্বে চীনের কোনো কোনো প্রতিবেশী দেশকে সমর্থন দিচ্ছে। দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল থেকে বছরে আয় হয় ৫ ট্রিলিয়ন ডলার।

আন্তর্জাতিক সমুদ্র-সীমায় নৌযান চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষার অজুহাত দেখিয়ে আমেরিকা দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে। চীন এ অঞ্চলে মার্কিন নৌ ও বিমান বাহিনীর সঙ্গে বেইজিংয়ের সংঘাত বেধে যেতে পারে বলে ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর