শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-বস করাল ছাত্ররা

শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-বস করাল ছাত্ররা

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশালে এক শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-বস করানোর ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। রোববার ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হলেও ঘটনাটি গত ২৫ আগস্টের।  

হেনেস্তার শিকার শিক্ষকের নাম মিজানুর রহমান সজল। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাসিন্দা সজল ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নগরীর রূপাতলীর জমজম নার্সিং ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা করতেন।

করোনাকালেও ওই ইনস্টিটিউটে কয়েক দিন অনলাইনে ক্লাশ নেন তিনি।  


আরও পড়ুন: সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ


ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ছাত্রীকে বেশি নম্বর পাইয়ে দেয়ার প্রলোভনে অনৈতিক প্রস্তার দেয়ার অভিযোগ তুলে ওই শিক্ষককে কানে ধরে-ওঠ-বস করানো হচ্ছে। ভিডিওতে কয়েক জনের কণ্ঠস্বর শোনা গেলেও কাউকে দেখা যায়নি। বোরকা পরিহিত এক ছাত্রীকে দেখা গেলেও তার মুখমন্ডল দেখা যায়নি।

তবে হেনেস্তাকারীদের মধ্যে ওই ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ ইমন ও তার স্ত্রী মনিরা আক্তার রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সজল।  

সজল জানান, জমজম ইনস্টিটিউটে কর্মরত থাকাকালে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এর মধ্যে ইমন ও তার স্ত্রী মনিরা অন্যতম। ওই বিরোধের জের ধরে গত ২৫ আগস্ট নগরীর চৌমাথা হাতেম আলী কলেজ এলাকা থেকে ইমন কয়েকজন সহযোগী সহ তাকে ধরে গোরস্থান রোড এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনের পর এক পর্যায়ে তাকে কিছু কথা বলতে বাধ্য করে তারা। সেগুলো তারা মুঠোফোনে ভিডিও করে ভাইরাল করে। একই সাথে তাকে কান ধরে ওঠবস এবং শিক্ষার্থী মনিরার পায়ে ধরতে বাধ্য করা হয়।  

এ ঘটনায় কোন পদক্ষেপ নেয়ার সামর্থ নেই বলে জানালেও তিনি তাকে হেনেস্তার বিচার দাবী করেন।  

জমজম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুল হক জানান, ভিডিওতে কাউকে দেখা না গেলেও কণ্ঠ শুনে তার প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী বলে মনে হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান খুললে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।  

এ ঘটনায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি পুলিশের সহায়তা না চাইলেও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি।  

নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম