অন্তঃসত্ত্বার জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা করলেন চিকিৎসক!

অন্তঃসত্ত্বার জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা করলেন চিকিৎসক!

অনলাইন ডেস্ক

ঠাকুরগাঁওয়ে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক মায়ের আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করার অভিযোগ উঠেছে ডা. রসনা বর্মন রোজের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশের সুরক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

রোগীর দেওয়া তথ্যমতে, গত শুক্রবার বিকেলে জয়ন্ত তার স্ত্রী লিপি রাণীকে (২৮) নিয়ে বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ী হাট থেকে ঠাকুরগাঁও শহরের সুরক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসেন প্রসূতির  মায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে। সুরক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডা. রসনা বর্মন রোজ অন্য পরীক্ষার পাশাপাশি লিপি রাণীকে জরুরি ভিত্তিতে আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন।

ডা. রসনা নিজেই আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করে পেটের বাচ্চা মৃত বলে লিখিত রিপোর্ট দেন এবং বাচ্চা অপসারণের জন্য দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন।

রোগী এ রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হয়ে আরেকটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করান। সেখানকার সনোলজিস্ট ডা. মো. শাহ আজমির রাসেল পেটের বাচ্চা জীবিত এবং সুস্থ আছে বলে রিপোর্ট দেন।  

এ অবস্থায় গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. এম আর রেজাকে দেখালে তিনিও একই মত দেন।

তিনি বলেন, প্রসূতি মায়ের জরায়ু মুখ খুলে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রসব করানোর প্রস্তুতি নিতে বলেন। গাইনী ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী, রোগীর অভিভাবক তৎক্ষণাত সে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পরে ওইদিন রাতেই সুস্থ বাচ্চা প্রসব করেন লিপি রাণী।

লিপি রাণীর স্বামী জয়ন্ত বলেন, ‘আমার স্ত্রীর আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে সন্তানকে মৃত ঘোষণা করলে আমার তা বিশ্বাস হয়নি। পরে অন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পুনরায় পরীক্ষা করি এবং আমার স্ত্রীর পেটের সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পাই। আমার মতো কেউ যেন এ ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ’

এ বিষয়ে ডা. রসনা বর্মন রোজ জানান, রোগীর শারীরিক অবস্থা ক্রিটিক্যাল ছিল, সেই সঙ্গে ল্যাবার পেইনসহ হাত ও পা ফোলা ছিল। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট সন্দেহ হওয়ায় রোগীকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে কী কারণে পরবর্তীতে তার নিকট তিনি আসেননি, তা তার জানা নেই।

ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, ‘বিষয়টি আমি দেখছি। ’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর