বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় দণ্ডিত আসামিদের আগামি সাত কার্মদিবসের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে হবে।
জানা যায়, আগামি রোববার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের জন্য রায়সহ মামলার যাবতীয় নথিপত্র আদালতে পৌঁছাতে পারে।
অন্যদিকে দণ্ডিত আসামিরা বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল ও আপিল করতে পারবেন।
ডেথ রেফারেন্স শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপার বুক প্রস্তুত করতে হয়। ডেথ রেফারেন্স বা মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন ও সংক্ষুব্ধ পক্ষের আপিলের ওপর হাইকোর্টে একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে।
এদিকে এ মামলার নথি ডেথ রেফারেন্সের জন্য উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়েছে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘নিরাপত্তার কারণে বিষয়টি সম্পর্কে কিছু বলতে চাচ্ছি না। ’
আইনজীবীরা জানান, ডেথ রেফারেন্স এমন একটি প্রক্রিয়া, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নিজ থেকে আপিল না করলেও আইনের বিধান অনুসারে ডেথ রেফারেন্সের ওপর উচ্চ আদালতে শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়ে থাকে।
মিন্নি ছাড়াও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য পাঁচ আসামি হলেন রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম ওরফে সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান ওরফে টিকটক হৃদয় (২২) ও মো. হাসান (১৯)। আর খালাস পাওয়া চারজনের মধ্যে পলাতক মুসা ছাড়া বাকি তিনজনকে রাতেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
এদিকে শিশু আদালতে চলমান ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিচারপ্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য নেওয়া শেষ। ৫ অক্টোবর থেকে যুক্তিতর্ক শুরুর দিন ধার্য রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তাঁর স্ত্রী আয়শার সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপর তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেদিন বিকেলে তিনি মারা যান। পরদিন ২৭ জুন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।
news24bd.tv সুরুজ আহমেদ
