ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর শেষ করা উলফাত আরা তিন্নির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বোনের সাবেক স্বামীসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাতে নিহত তিন্নির মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করেন। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত উলফাত আরা তিন্নি উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত ইউসুফ আলীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: ইবি ছাত্রীকে হত্যার পর 'আত্মহত্যা' বলে প্রচারের অভিযোগ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাতে বড় বোন মিন্নির সাবেক স্বামী একই গ্রামের কনুর উদ্দিনের ছেলে জামিরুল তিন্নিদের বাড়িতে দুই দফা প্রবেশ করে হামলা-ভাঙচুর ও তিন্নির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এরপর রাত ১২টার দিকে শোয়ার ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তিন্নির মরদেহ উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা।
পরিবারের দাবি, তিন্নি ধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জা ও ক্ষোভে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ, এবারও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ
শৈলকুপা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মহসিন হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পড়ালেখা শেষ করা মেধাবী ছাত্রী তিন্নির মৃত্যুতে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের নামে শৈলকুপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে শেখপাড়া গ্রামের কনুর উদ্দিনের ছেলে আমিরুল, খলিল শেখের ছেলে নাইম ও লাবিবসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মামলার প্রধান আসামি জামিরুল এখনও পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
news24bd.tv সুরুজ আহমেদ