এই গ্রহাণু সম্পর্কে জানতে পারলে জানা যাবে পৃথিবীর উৎপত্তি

এই গ্রহাণু সম্পর্কে জানতে পারলে জানা যাবে পৃথিবীর উৎপত্তি

অনলাইন ডেস্ক

নাসার প্ল্যানেটারি সায়েন্সের বিজ্ঞানী লোরি গ্লেজ জানিয়েছেন, এই গ্রহাণু সম্পর্কে জানতে পারলে পৃথিবীর উৎপত্তি নিয়ে অনেক কথায় জানা যাবে। কী করে এই সৌরজগত তৈরি হল, সেটাও স্পষ্ট করে জানা যেতে পারে। ২০১৬ সালে অ্যাটলাস ভি রকেটের মাধ্যমে এটি মহাকাশে পাড়ি দেয়। তারপর গ্রহাণুর মাটি ছোঁয়ার আগে এটি সন্ধান চালাতে থাকে মাটিতে নামার মতো সঠিক জায়গার।

দু'বছর ধরে সেই সন্ধান চালানোর পর এটি গ্রহাণুতে নেমে আসে।

তিনি আরও জানান, এই গ্রহাণু সম্পর্কে জানতে পারলে অনেক রহস্যেরই সমাধান হয়ে যাবে। বাদামের মতো দেখতে একটি গ্রহাণু!‌ বয়স ৪৫০ কোটি বছর। সৌরজগতে মোটামুটি ১০ লক্ষ গ্রহাণু রয়েছে।

‘বেনু’ (Bennu) তার মধ্যে অন্যতম। সেটিতেই পা রাখল নাসার মহাকাশযান।

news24bd.tv

মহাকাশযানটির আকার লম্বা বাসের মতো। সেটি পৃথিবী থেকে বহু দূরে অবস্থিত গ্রহাণুকে নতুন করে চিনতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

যদি এই মহাকাশযান পৃথিবীতে ফেরে, তা হলে সাম্প্রতিক সময়ে এটিই হবে নাসার সব চেয়ে বড় সাফল্য। ওই গ্রহাণুর তথ্য সংগ্রহ করতে পারলে অনেক রহস্যেরই সমাধান করা যাবে। বোঝা যাবে কোথা থেকে এল এই সৌরজগত, কী ভাবে সৃষ্টি হল প্রাণ।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মহাকাশযানটি ইতিমধ্যে ওই গ্রহাণুতে পা রেখেছে। সেখান থেকে নানারকম উপাদান সংগ্রহ করতেও শুরু করেছে যানটি। সর্বোচ্চ ২ কিলোগ্রাম পর্যন্ত উপাদান সংগ্রহ করতে পারবে এটি।

২০২৩ সালে পৃথিবীতে ফেরত এলে সেই উপাদান পর্যবেক্ষণ করে অনেক অজানা তথ্য স্পষ্ট হতে পারে বিজ্ঞানীদের কাছে। সাধারণত এমন অসংখ্য গ্রহাণু সৌরজগতের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সেগুলির উপাদান সম্পর্কে মানুষ কেবল এতদিন ধারণা করতে পেরেছে মাত্র। মনে করা হচ্ছে, এই গ্রহাণুর মধ্যে থাকতে পারে অনেক মহামূল্যবান উপাদান। থাকতে পারে কাদা মাটি, জলও।

সূত্র: জি২৪ ঘণ্টা

news24bd.tv আহমেদ