বিয়ের নামে ৮ম ও দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

বিয়ের নামে ৮ম ও দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ইমন চৌধুরী, পিরোজপুর

নাজিরপুরে ৮ম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রী ও দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের নামে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে।

প্রায় দু’মাস আগে ওই মাদরাসাছাত্রীকে উপজেলার দেউলবাড়ী ইউনিয়নের তুরুকখালী বাজার এলাকা থেকে তুলে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা এলাকায় ধর্ষকের ভগ্নিপতির বাড়িতে নিয়ে বিয়ের নামে প্রতারণা করে সেখানে আটক রেখে ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রীকে সেখানে ফেলে পালিয়ে যায়।

গত সোমবার ওই মাদরাসাছাত্রী স্ত্রীর দাবি নিয়ে ধর্ষকের বাড়িতে যায়।

তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ধর্ষকের পরিবার। স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। বর্তমানে ওই মাদরাসাছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে নাজিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আবুল হাসান (২০) উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের মুনিরাবাদ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আইয়ুব আলীর ছেলে।

ওই মাদরাসা ছাত্রীর বাবা জানান, প্রায় দু’মাস আগে তার মেয়ে দেউলবাড়ী গ্রামে মামা বাড়ি থেকে পেনাখালী গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে তুরুকখালী বাজার এলাকা থেকে আবুল হাসান ও তার ভগ্নিপতি মেহেদী মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। পরে ওইদিন রাতে মেহেদী তাকে মোবাইল করে উজিরপুর উপজেলার হারতা গ্রামে তার বাড়ি যেতে বলে এবং তার মেয়ে সেখানে আছে বলে জানায়। তার কথায় তিনি সেখানে গেলে তার মেয়েকে আবুল হাসানের সাথে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে। তখন তিনি তার মেয়ে নাবালিকা বলে বিয়ে দিতে অস্বীকার করলে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি কাগজে স্বাক্ষর রেখে সেখানে রেখে দেয়।

এ সময় তারা এ বিষয়ে কোনো বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দেয়। আবুল হাসানের বাবা তার দুঃসর্ম্পকের আত্মীয় হওয়ায় তিনি তখন কোনো মামলা করেনি। সেখানে আবুল হাসান তার মেয়েকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে। পরে আবুল হাসান তার মেয়েকে সেখানে ফেলে পালিয়ে যায়। গত সোমবার তার মেয়ে স্ত্রীর দাবিতে আবুল হাসানের বাড়ি গেলে মেয়েকে মারধর করে সেখান থেকে বের করে দেয়।

এছাড়া এ ঘটনার আগে আবুল হাসান একই গ্রামের দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ের নামে প্রতারণা করে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে ধর্ষক আবুল হাসানের বাবা আইয়ুব আলীর সাথে কথা হলে তিনি তার ছেলে ওই দুই ছাত্রীকে বিয়ে করেছে বলে স্বীকার করে।

নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, ওই মাদরাসা ছাত্রীর মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু হয়েছে।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর