পাখি শিকার ও বিক্রির অপরাধে চার জনকে কারাদণ্ড

মৌ খন্দকার

বিপন্ন প্রজাতির পাখি শিকার ও বিক্রির অপরাধে আশুলিয়া থেকে চার জনকে আটক করে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‍্যাবের ভ্রাম‍্যমাণ আদালত।

অভিযানে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন প্রজাতির ৭১০টি পাখি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে অবমুক্ত করা হয়েছে।  

উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে ধরা হয় নানা প্রজাতির পাখি। এরপর খাঁচাবন্দী করে এসব পাখি এনে জড়ো করা হয় সাভারের আশুলিয়ায়।


আরও পড়ুন: ১৩টি স্যাটেলাইট সফলভাবে কক্ষপথে পাঠিয়েছে চীন


সুযোগ বুঝে রাজধানীতে এনে সৌখিন ক্রেতাদের কাছে উচ্চমূল্যে এসব পাখি বিক্রি করাই ছিল শিকারিদের উদ্দেশ্য।

তবে র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ পাখি শিকারিদের এ পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।

বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয় টিয়া, ঘুঘু ও মুনিয়া মিলিয়ে ৭১০টি পাখি।
 
উদ্ধারের পর পাখিগুলোকে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে এনে খাঁচা থেকে অবমুক্ত করা হয়।


বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১২ অনুযায়ী দেশীয় বিপন্ন প্রজাতির পাখি ক্রয়, বিক্রয়, সংরক্ষণ ও শিকার করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
এ ঘটনায় আটক চারজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পাখি প্রকৃতির বড় সম্পদ কেউ প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্টের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান সারোয়ার আলম।

news24bd.tv তুষার

সম্পর্কিত খবর