যে সময়গুলোতে দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন

যে সময়গুলোতে দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন

অনলাইন ডেস্ক

আল্লাহতায়ালা পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু। মানুষের ওপর তার দয়ার কোনো শেষ নেই। আল্লাহতায়ালার অসংখ্য নিয়ামত ও দয়ার অন্যতম একটি দয়া হলো- মানুষের পাপমুক্তির জন্য দোয়া কবুল করা। আল্লাহ বান্দার দোয়া কবুল করার জন্য নানা উসিলা খুঁজেন।

তাই তিনি দোয়া কবুলের জন্য দিনরাতের মাঝে এমন অনেক সময় ও মুহূর্ত রেখেছেন, যে সময় দোয়া করলে তা কবুল হয় বলে হাদিসে বিভিন্নভাবে বলা হয়েছে। দোয়া কবুলের সেই মুহূর্তগুলো হলো-

১. সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ  করে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়। (মুসলিম, মূল কিতাব-৮০৬)

২. অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য দোয়া, কোন মুসলিমের অগোচরে অন্য মুসলিমের জন্য দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়। (মুসলিম -৬৮২২)

৩. জালিমের বিরুদ্ধে মাজলুম ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়।

(তিরমীযি-৩৪৪৮)

৪) মা-বাবা তার সন্তানের জন্য দোয়া করলে দোয়া কবুল হয় ৷ (তিরমীযি-৩৪৪৮)

৫. নেককার সন্তানের দোয়া কবুল হয়। (বাবা-মায়ের জন্য তাদের মৃত্যুর পর)। (আবু দাউদ-২৮৮০)

৬. আরাফাতের ময়দানে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়। (তিরমীযি-৩৫৮৫)

৭. বিপদগ্রস্ত অসহায় ব্যক্তির দোয়া তাড়াতাড়ি কবুল হয়। (সূরা নমল ৬২,৫৭ ও সূরা ইসরার ৬৭ নাম্বার আয়াত)

৮. সেজদায় দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়। (নাসায়ী ১০৪৫)

৯. হজ্জের স্থানসমূহের দোয়া তাড়াতাড়ি কবুল হয়। যেমন: আরাফাহ, মুজদালিফা, মিনা...। (ইবনে মাজাহ-২৮৯২)

১০. হজ্জ করা অবস্থায় হাজীর দোয়া কবুল হয়। (ইবনে মাজাহ-২৮৯৩)

১১. উমরাহ করার সময় উমরাহকারীর দোয়া কবুল হয়। (নাসায়ী-২৬২৫)

১২. আযানের পর দোয়া কবুল হয়। (তিরমীযি-২১০)

১৩. ক্বিতাল চলাকালীন সময় দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়। (আবু দাউদ-২৫৪০)

১৪. বৃষ্টি বর্ষণকালে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়। (আবু দাউদ-২৫৪০)

১৫. শেষ রাতের দোয়া, তাহাজ্জুদের সময়কার দোয়া কবুল হয়। (বুখারী-১১৪৫)

১৬. জুম্মার দিনের দোয়া কবুল হয়, আসরের শেষ দিকে তালাশ করার জন্য নির্দেশ আছে। (নাসায়ী-১৩৮৯)

১৭. লাইলাতুল ক্বদরের রাত্রির দোয়া কবুল হয়। (বুখারী ও মুসলিম)

১৮. আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়কার দোয়া কবুল হয়। (আহমাদ-১৪৬৮৯, মুসলিম -৬৬৮)

১৯. ফরয সালাতের শেষ অংশে দোয়া করলে কবুল হয়। (সালাম ফিরানোর আগে)। (রিয়াদুস স্বালেহীন ১৫০৮, তিরমীযি-৩৪৯৯)

২০. মুসাফিরের দোয়া কবুল হয়। (সফর অবস্থায়)। (তিরমীযি-৩৪৪৮)

২১. রোজাদার ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়। (রোজা অবস্থায়)। (ইবনে মাজাহ-১৭৫২)

২২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া কবুল হয়। (তিরমীযি-২৫২৬)

২৩. দোয়া ইউনুস পাঠ করে দোয়া করলে দোয়া  কবুল হয়। (তিরমীযি-৩৫০৫) দোয়া ইউনুস: লা ইলাহা ইল্লা-আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন।

২৪. ইসমে আযম পড়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়। (ইবনে মাজাহ-৩৮৫৬)
ইসমে আযম: আল্লা-হুম্মা ইন্নী  আস-আলুকা বি-আন্না লাকাল হামদু লা-ইলাহা ইল্লা-আন্তা ওয়াহ'দাকা


আরও পড়ুন: যে সময়গুলোতে সালাম দেয়া যাবে না


মুমিন মুসলমানের উচিত এ সময় ও দিনক্ষণগুলোতে বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফারের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। নিজের একান্ত চাহিদাগুলো পূরণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত দিন ও সময়ে তাওবা-ইসতেগফারসহ দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

news24bd.tv আহমেদ

এই রকম আরও টপিক