করোনায় বেকারদের পাশে কেউ নেই

করোনায় বেকারদের পাশে কেউ নেই

সুলতান আহমেদ

করোনার প্রভাবে বেকার হওয়া ব্যক্তিরা দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন কাজের সন্ধ্যানে। পরিবারের জন্য দু বেলা খাবার জোগাতে কেউ কেউ হকার বনে গেছেন। নিদারুন জীবন যাপন করলেও পাশে দাঁড়ানোর যেনো কেউ নেই তাদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্মসংস্থান তৈরিতে সর্বোচ্চ নজর দেয়ার সময় এখন।

এছাড়া কর্মহীনদের অতিদরিদ্র হওয়া থেকে বাঁচাতে সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি ঋণ বিতরণ বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।  

যে চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এক তরুন, সেই চোখে এখন হতাশার কান্না। ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার মো. কাইয়ুম। ঢাকায় এক ট্রাভেল কোম্পানীতে চাকুরি করে ভালোই চলছিল তার, তবে মহামারি করোনা নি:স্ব করেছে তাকে।

 
পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই বয়সের মোস্তফা রহমাতুল্লাহও প্রিন্টিং ব্যবসা করে ভালোই ছিলেন, তবে করোনায় তার ব্যবসাও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। পরিবারের কথা ভেবে বেছে নিয়েছেন হকারি পেশা।  


আরও পড়ুন: স্বর্ণব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম আটক


রাজধানী ঢাকাতে এখন বেচে থাকার সংগ্রামে বেড়ে গেছে হকারের সংখ্যা। আবার কেউ কেউ কর্মচ্যূত হয়ে মোটরবাইক নিয়ে নেমে পড়েছেন আয় করতে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক হিসেবে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে বেকারের সংখ্যা ৪.১১ শতাংশ হলেও এপ্রিল থেকে জুলাই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ শতাংশে।  

প্রতি বছর প্রায় ১২/১৪ লাখ তরুন চাকুরির বাজারে এলেও এবছর তারা বেকারই থাকছেন। বিদেশ যাওয়া বন্ধ থাকায় বেকারের খাতায় যোগ হচ্ছে আরো প্রায় ৭/৮ লাখ। ফলে ছাঁটাই আর কর্মহীন মানুষের স্রোতে যোগ হয়েছে আরো প্রায় ২০ লাখ বেকার মানুষ।  

গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন অণ্বেষণ কর্মহীনদের বাঁচাতে সাতটি পরামর্শ দিচ্ছে। যার মধ্যে প্রান্তিক মানুষের কাছে অর্থ পৌঁছানো, ছোট ব্যবসায় ঋণ বিতরণ বাড়ানো অন্যতম।  এছাড়া বিতরণকৃত ঋণ যাতে কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যবহার হয় সেই দিকে নজর দেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

news24bd.tv নাজিম