পিরোজপুরের কাউখালীর সন্ধ্যা ও কালীগঙ্গা নদীর পারে হঠাৎ করে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়ে পিরোজপুর-স্বরূপকাঠি সড়কের আমরাজুড়ি ও সয়না রঘুনাথপুরের দুই পাড়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি বিলীনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে নদীর স্রোতের কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে আগের থেকে কয়েকগুন বেশি।
স্থানীয়রা জানান, ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে আমরাজুড়ি সার্কেল অফিস (রাজস্ব), আশোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
ভাঙন রোধে বারবার আবেদন জানালেও এগিয়ে আসেনি সরকারি কোনো সংস্থা।প্রতিদিনই ভাঙছে পিরোজপুর কাউখালীর সন্ধ্যা ও কালীগঙ্গা নদীর দুই পাড়। তবে গেলো এক সপ্তাহে হঠাৎই নদীর স্রোতের কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে আগের থেকে কয়েক গুন বেশি।
আরও পড়ুন: দোকান কর্মচারী মনির কীভাবে দেড় হাজার কোটি টাকার মালিক
এতে উপজেলার সোনাকুর, সয়না, রঘুনাথপুর, হোগলা, বেতকা, রোঙ্গাকাঠী ও গন্ধর্ব গ্রাম সহ প্রায় ২৫ টিরও বেশি গ্রাম ভাঙ্গনের মুখে।
স্থানীয়রা জানান, আমরাজুড়ি ইউনিয়নের মূল বাজার এখন সন্ধ্যা নদীর মাঝখানে। ইতোমধ্যে আমরাজুড়ি ফেরিঘাট ও বাজারের অতন্ত ২৫টি দোকান এবং কয়েকশ’ ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। তাছাড়াও ফেরিঘাট,বিদ্যালয়,ঘরবাড়ি, মসজিদসহ বেশকিছু স্থাপনা রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে। গত এক মাসে আমরাজুড়ি ফেরিঘাটের ছয়টি দোকান নদীতে হারিয়েছে।
তাই জরুরি ভিত্তিতে নদী শাসনের উদ্যোগ না নিলে এই স্থাপনাগুলো রক্ষা অসম্ভব।
এদিকে, ভাঙন রোধে বারবার আবেদন জানালেও এগিয়ে আসেনি সরকারি কোনো সংস্থা অভিযোগ ভুক্তভোগিদের। অবিলম্বে বাধ নির্মাণের দাবিও জানান তারা।
কাউখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আব্দুল লতিফ খসরু জানান, স্বাধীনতার পর থেকে ভাঙন রোধে কার্যকর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কোনো সরকার। যুগযুগ ধরে সন্ধ্যা ও কালীগঙ্গা ভাঙছে। প্রতিদিন এ জনপদের মাটি, স্থাপনা ও বৃক্ষরাজি এই দুই নদীর করাল গ্রাসে চলে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
নদী ভাঙন রোধে জরুরি ভাবে কার্যকারি ব্যবস্থা নিবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।
news24bd.tv নাজিম