কেউ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলে যা করবেন!

ছবি সংগৃহীত

কেউ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলে যা করবেন!

Other

বাড়িতে বা রাস্তায় কেউ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যতে পারে।   তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমরা সাধারণ ভয় পেয়ে যাই। আর বুঝে উঠতে পারি না যে এখন কি করা প্রয়োজন।  

আসুন জেনে নেই হঠাৎ কেউ অজ্ঞান হয়ে গেলে কী করবেন-

১. প্রথমতো একটি অ্যাম্বুলেন্স ডাকার ব্যবস্থা করতে হবে।

রোগীর নাম ধরে ডাকুন আর নাম না জানা থাকলে কিছু একটা বলে সম্বোধন করুন।  

২. রোগীকে সোজা করে শুইয়ে দিন। এ সময় রোগীকে অবশ্যই কাত করে রাখতে হবে। চিত বা উপুড় করে রাখলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

৩. রোগীর নাকের কাছাকাছি একটি হাত নিয়ে অনুভব করতে চেষ্টা করুন, শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে কি না। শ্বাস-প্রশ্বাস চলার ব্যাপারটি বুকের ওঠানামা দেখে এবং নিঃশ্বাসের শব্দ শুনেও বুঝতে পারা যায়। ঠিক এ অবস্থায় আপনাকে কয়েকটি কাজ একসঙ্গে করতে হবে।  

৩. গায়ে শক্তভাবে আটকানো কোনো পোশাক থাকলে তা ঢিলা করে দিন। শক্ত করে আটকানো বেল্ট বা বক্ষবন্ধনীর জন্য রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কোনোভাবেই উঠিয়ে বসানো যাবে না। এ অবস্থায় কোনো খাবার দেওয়া নিষেধ।  

৪. আঙুলে রুমাল জড়িয়ে রোগীর মুখে জমে থাকা লালা বের করে দিতে হবে। মাথা পেছনের দিকে কাত করে ধরে থুতনি একটু উঁচু করে ধরুন।  

৫. এ সময় খিঁচুনিও থাকতে পারে। খিঁচুনি হলে হাত-পায়ের কাছ থেকে আঘাত লাগতে পারে এমন সবকিছু সরিয়ে নিন। খিঁচুনির রোগীকে জোর করে ধরে রাখার চেষ্টা করবেন না। দ্রুত একপাশ ফিরিয়ে শুইয়ে দিন। পাশাপাশি রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনুন।  

৬. শ্বাসকষ্ট হলে মুখের লালা পরিষ্কার করার পাশাপাশি খেয়াল করুন দাঁত ও জিহ্বার অবস্থান কি। যদি জিহ্বা দাঁতের মাঝে আটকা পড়ে অথবা জিহ্বা পেছনের দিকে গিয়ে শ্বাসনালির মুখ আটকে দেয়, তাহলে একটি চামচের উল্টো দিক দিয়ে দাঁতের পাটিকে খুলে জিহ্বাকে যথাস্থানে রাখার চেষ্টা করুন।  

এছাড়া স্ট্রোক, অ্যাকসিডেন্ট ও মাথায় আঘাত, এপিলেপ্সি বা মৃগী, হার্ট অ্যাটাক, হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়া, ডায়াবেটিস থেকে সুগার কমে অথবা বেড়ে যাওয়া, রক্তে লবণের তারতম্য, খুব বেশি জ্বর, নেশার দ্রব্য বা বেশি মাত্রায় ওষুধ খাওয়া, সাপের কামড়, বিষক্রিয়া, বজ্রপাত ও ইলেকট্রিক শক, হিটস্ট্রোক, থাইরয়েডের বা পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের সমস্যা, লিভার বা কিডনি ফেইলিউর, বিষাক্ত গ্যাসের সংক্রমণ (দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা গর্তে কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস জমে থাকে, সেখানে কেউ ঢুকলে এ ধরনের বিপদে পড়তে পারেন)।

হঠাৎ হার্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। এটি জরুরি অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে কার্ডিয়াক ম্যাসাজ দেয়া জরুরি।  

যদি জানা থাকে রোগী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাহলে দেরি না করে মিষ্টি কিছু খাইয়ে দিন। গ্লুকোজ বা চিনির পানি খাওয়ানোই ভালো।

লেখক : নিউরোসার্জন, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স, শেরেবাংলা নগর, আগারগাঁও, ঢাকা

চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা, চালক গ্রেপ্তার

নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করতে প্রেমিককে সাহায্য করল মা!

ফোন করলেই মিলবে ছাত্রলীগের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স

মহাখালীতে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, আহত ২

news24bd.tv / কামরুল