হাসিনকে দেখেই রেগে গেলেন শামি

হাসিনকে দেখেই রেগে গেলেন শামি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ব্যাপক আশা নিয়ে  দিল্লিতে গিয়েছিলেন হাসিন। শামির সঙ্গে দেখাও হলো, কিন্তু হয়নি কোনও সহমর্মিতার কথা। বরং রেগে উচ্চবাচ্য বাক্যবিনিময়। কিন্তু মুহম্মদ সামি তাঁকে নাকি চিনতেই পারেননি, এমনই দাবি করেছেন স্ত্রী হাসিন জাহান।

মঙ্গলবার রাতে ভারতের দিল্লি থেকে এমন কথাই জানিয়েছেন হাসিন। যিনি কিনা মঙ্গলবার দুপুরেই আহত সামিকে দেখতে তড়িঘড়ি দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন একমাত্র মেয়ে আইরাকে নিয়ে।

হাসিন জানায়, আইরার সঙ্গে শামি সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন দিল্লির র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলের লবিতে। তবে, স্ত্রী হাসিন জাহান কুশল সংবাদ জানতে গেলে কড়া কথা শুনিয়ে দিয়েছেন শামি।

হাসিনের বলেন, শামি তো আমাকে চিনতেই পারল না। শামির মা ওকে যেন বডিগার্ডের মতো আড়াল করে রেখেছিলেন। বহুবার কথা বলার চেষ্টা করেছি। আমার সঙ্গে কথাই বলতে দেননি। শামিও বলতে চায়নি। হুমকি দিয়ে বলেছে, যা বলার কোর্টে হবে। তারপর আমি মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে আসি হোটেলের বাইরে।

সোমবার থেকে সামি এবং হাসিনের মধ্যে খানিকটা হলেও বরফ গলেছিল। রোববার সামি গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন। তারপর থেকে মেয়েকে নিয়ে সামিকে দেখতে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন হাসিন।

টিভিতে, কাগজে বাবার দুর্ঘটনার ছবি দেখার পর মেয়ে আইরা শামিকে দেখার জন্য ছটফট করছিল। তখনই হোয়াটসআপে শামির সঙ্গে যোগাযোগ করেন হাসিন। বেশ কয়েকটি কথা হয় হোয়াটসআপে।

হাসিন জানান, তিনি এবং মেয়ে শামিকে দেখতে যেতে চান। সামি বলেন, ডাক্তার কাছে আছে, রাতে ফোনে কথা হবে বলে মেসেজ করেন হাসিনকে। এমনকী মেসেজে মেয়ে আইরাকে ‘জান’ বলে সম্বোধন করেছিলেন শামি।

সোমবার রাতে শামি জানান, তিনি দেখা করবেন। তবে কোথায় তা জানাতে মঙ্গলবার হয়ে যাবে। সেইমতো হাসিন কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার ওপেন টিকিট কেটে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে যান। কলকাতা থেকে বিমানে ওঠার আগে শামিকে মেসেজ করে জানতে চান দিল্লি পৌঁছে কোথায় দেখা করবেন?

সামি তাঁকে উত্তরে জানিয়েছিলেন, দিল্লি পৌঁছানোর পর সামিকে যেন মেসেজ করেন হাসিন। তখন শামি জানিয়ে দেবেন কোথায় যেতে হবে। নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে হাসিন দিল্লির বিমানে বিকেল তিনটায় দিল্লি পৌঁছেন। তারপর শামির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন শামি জানিয়ে দেন তিনি র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলে দেখা করবেন।

সেখানে পৌঁছে হাসিন প্রথমে জানতে পারেন সেই হোটেলে শামি অতিথি হিসেবে নেই। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সামি তাঁর মাকে নিয়ে হোটেলে পৌঁছান। তারপর শামি ঠিক করেছিলেন শুধু মেয়ের সঙ্গে দেখা করবেন। প্রয়োজনে ফেসবুক লাইভে কথা বলবেন। পরে মত বদলান সামি। ভেতরে ডেকে নেন মেয়েকে। সঙ্গে মা হাসিনও যান। কিন্তু সেখানে হাসিনের সঙ্গে কথাই বলেননি শামি।

কলকাতা ছাড়ার আগে হাসিন জানিয়ে গেছিলেন, ওর দুর্ঘটনার পর আমি মানবিকতার খাতিরে শামিকে দেখতে যাচ্ছি। মেয়ে এবং আমি দুজনেই শামিকে চোখের দেখা দেখতে চেয়েছি। আইনি লড়াই যা হওয়ার হবে। এর সঙ্গে মানবিকতা গুলিয়ে ফেললে হবে না।

কলকাতায় হাসিনের আইনজীবী জাকির হোসেন জানিয়েছেন, ঠিক আছে, তাহলে হাসিনের সঙ্গে সামির আদালতেই কথা হবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর