রাজধানীতে দুই বাসের রেষারেষিতে তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের হাত হারানোর ঘটনায় ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রাজীবের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় দুই বাসের মালিকপক্ষকে বহনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহুরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ নির্দেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন রাজধানীর মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের (বাণিজ্য) ছাত্র রাজীব হোসেন (২১)।
হাতটি সামান্য বাইরে বেরিয়েছিল। হঠাৎই পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে বিআরটিসির বাসের পাশের ফাঁক দিয়ে ঢুকে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে দুই বাসের ঘষায় রাজিব হোসেনের ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হাতটি দোতলা বাসের সঙ্গে লেগে ঝুলে ছিল।রাজীব যাত্রাবাড়ীর মিরহাজারিবাগের একটি মেসে থাকেন। বাবা-মা নেই। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবার বড়। পড়ালেখার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিজের ও ছোট দুই ভাইয়ের খরচ চালাতেন।
এ ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল রিটটি করেন। রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, যাত্রীসাধারণের চলাচল নিরাপদ করতে বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে কার্যকর করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনে আইন সংশোধন ও নতুন করে বিধিমালা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রসচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতুসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ আট বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।