আমার একটাই কথা, মারামারি করবেন তো খবর আছে: মাশরাফী (ভিডিও)

আমার একটাই কথা, মারামারি করবেন তো খবর আছে: মাশরাফী (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক

খেলার মাঠে যেভাবে নিজের নেতৃত্বের প্রমাণ দেখিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ঠিক একইভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নড়াইলবাসীর হয়ে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নড়াইলের উন্নয়নে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন মাশরাফী। এলাকার যেকোনো সমস্যায় তাকে পাশে পেয়েছেন সাধারণ মানুষ।

তবে নড়াইলের বিভিন্ন গ্রামে এখনও মারামারি-সংঘাতে লিপ্ত হচ্ছে অনেকেই। অনেকের প্ররোচনায় তারা নিজেদের জীবনহানী করছে।

আর এসব গ্রাম্য সংঘাত নিয়েও কাজ করছেন মাশরাফী। নেতা হিসেবে কিভাবে গ্রামে গিয়ে এসব বিষয় নিয়ে মানুষকে সতর্ক করছেন সে রকমই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।

নড়াইলের ‘ইতনা’ ইউনিয়নে একটি গ্রাম্য সালিশ শেষে দুই পক্ষকে মিলিয়ে দিয়ে গ্রামবাসীকে শপথ করান ভবিষ্যতে যেন আর কারো কথায় নিজেদের মধ্যে মারামারিতে না জড়ায়।

সেখানে মাশরাফী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমার একটাই কথা, মারামারি করবেন তো খবর আছে। আমি কিন্তু আপনাদের কথা নিয়ে গেলাম। আর মারামারি করবেন না।

এ সময় মাশরাফী আরও বলেন, এবার ঈদের নামাজ পড়তে পারেননি আপনারা! তা লাভ কী হলো। পুলিশের কাজ, ধরে নিয়ে চলে যাওয়া। এরপর আপনার পরিবার এসবের ভুক্তভোগী হবে। তাদের চুলা জ্বলবে না। আপনাদের সহজ সরল পেয়ে, সব খেয়ে শেষ করে দেবে। সহজ সরল হওয়া ভালো তাই বলে যে যা বলবে তার কথায় ঝাঁপায় পড়া যাবে না। আপনি চিন্তা করবেন না আপনার পরিবারের কথা?

আরও পড়ুন

  সত্য প্রকাশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সরকার: ৫৭ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

  ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান জানালো কানাডা

  রেস্তোরাঁর আড়ালে সিসা সেবনের ব্যবসা চালাচ্ছিল ওমর সানি-মৌসুমীর ছেলে

  ঘূর্ণিঝড় তকতের আঘাতে নৌযান ডুবি, নিখোঁজ ১২৭

 

নড়াইলের জন মানুষের এই নেতা বলেন, “আমি এখানে আসতে তিন কিলোমিটার রাস্তা পার করেছি, এই রাস্তা ইটের করা কিন্তু ভাঙ্গা। এই জায়গায় আসলে আপনাদের বলার কথা ছিল, ভাই এই রাস্তাটা একটু ঠিক করে দিয়েন। আসার পথে বৃদ্ধ মহিলা আমার মায়ের বয়সী, পায়ে ধরে পড়তেছে। ঘর দেখলাম ৩-৪টা গোড়া থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। কার ইন্ধনে করতেছেন? বলতে পারবেন? তারা আপনাদের কি দেয়?

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

নিজের উদারহণ টেনে মাশরাফী বলেন, এই ধরেন আমার কথায় আপনারা এইগুলো করতেছেন, ধরে নিলাম। আমি কি আপনাকে খেতে দেই? পরতে দি? ছেলেমেয়ের পড়াশোনা করাই? হাসপাতালে ভর্তি করাই? তাহলে আমি কিসের নেতা! আমার কথায় আপনি আরেকজনকে মেরে ফেলবেন? আপনার ছেলে মেয়ে দেউলিয়া হয়ে যাবে। আপনি যে মামলাটা খাচ্ছেন, পুলিশের কাজ তো পুলিশকে করতেই হবে। ওমুক নেতা ঢাকায় বসে, নড়াইলে বসে বলতেছে, মেরে দিয়ে আয়, আপনি মেরে দিলেন! ঝাঁপায় পড়তেছেন। মেরে দিয়ে এসে আপনার কি হলো আপনি বুঝলেন না। আপনাকে তো পুলিশ ধরে নিয়েই যাবে। যে মারতে বলল, সে কি আপনার মামলা লড়ে? কোনদিন লড়ছে? জেল যা খাটার তা তো আপনারাই খাটছেন, নাকি?’

news24bd.tv আহমেদ