রাঙামাটিতে ৫ দোকান বিধস্ত

রাঙামাটিতে ৫ দোকান বিধস্ত

Other

বিধস্ত রাঙামাটির ৫টি দোকান। সড়ক থেকে ধেসে পরেছে পাহাড়ি খাদে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাঙামাটি রিজার্ভ বাজার এলাকা এ ঘটনা ঘটে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা নাঘটলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় লাখ টাকা দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।

এঘটনার পর মারাত্মক যান চলাচলের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার সড়কে। তাই উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দেখা দেয় স্থানীয়দের মাঝে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধস দেখা দেয় রাঙামাটি শহর জুড়ে। পাহাড়ি মাটি ভেঙে পরছে সড়কে সড়কে।

এতে প্রাণহানীরমত ঘটনা না ঘটলেও পাহাড়বাসির মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে কয়েকগুন। এরই মধ্যে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকায় সড়ক থেকে ভেঙে পরেছে ৫টি দোকান। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- মো. মামুন, সুভাস দে, মো. হেলাল, মো. সেলিম, মো. হারুন ও তোতা মিয়া। তারা
জানান, লকডাউনের কারণে বন্ধ ছিল দোকানগুলো। তাই এসময় দোকানে কোন মানুষ ছিল না। প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটেনি।

তবে দোকানে বেশ মালামাল ছিল। প্রায় ১০০ ফুট নিচে পড়ে যাওয়ার কারণে কোন মালামাল রক্ষা করা যায়নি।

এদিকে দোকান বিধস্তের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।

রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, রাঙামাটি বিজার্ভ বাজার এলাকায় শহীদ আব্দুল আলী বিদ্যালয় পাশে ৫টি দোকান ধ্বসে পরার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। ঘটনা স্থল পরিদর্শনের পর দেখি এখানে কেউ হতাহত হয়নি। তবে ধসে পড়া দোকান ঘরগুলো অনেক পুরানো জরাজীর্ণ। কাপ্তাই হ্রদের পাড়ে পাহাড়ের চূড়ায় রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ দোকানগুলোর খুটি একেবারে নড়বড়ে। বৃষ্টিতে মাটি সড়ে যাওয়ার কারণে ধসে পড়ে দোকানগুলো।

রাঙামাটি কোতয়ালী থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, দোন ধসে পরার পর হাজারো মানুষের ভিড় জমে সেখানে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ পুরো এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে। সড়কের পাশ থেকে মানুষ সড়িয়ে নিরাপতার জন্য বেরিকেট দেয় ভাঙ্গা সড়কে। তবে সড়কের পাশে পাহাড়ি খাদ থাকার কারণে সড়কটিতে মারাত্মক ঝুঁকি বেড়েছে।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

অভিযোগ উঠেছে, রাঙামাটি শহর জুড়ে অসংখ্য দোকান-ঘর মারাত্মক ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। পাহাড় ঘেষে, পাহাড়ের পাদ দেশে তৈরি করা এসব দোকান-ঘর পুরনো হয়ে নড়বড় হয়ে পরেছে। যেকোন সময় ঘটতে পারে ধসের ঘটনা। বর্ষাতে এ শঙ্কা বেড়েছে কয়েকগুণ।

আরও পড়ুন:


বিধিনিষেধ বাড়ল যে কারণে

রেকর্ড মৃত্যুর দিনে শনাক্ত ৯,৯৬৪

ভারতের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ নেই: পাকিস্তান

করোনা আক্রান্ত বেশি গ্রামে না শহরে জানালেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

পুরুষদের দাড়ি রাখতেই হবে, একা বের হতে পারবেন না নারীরা


news24bd.tv / তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর