কুড়িগ্রামে বন্যায় নদী ভাঙন ও রোপা আমনের ক্ষতি

কুড়িগ্রামে বন্যায় নদী ভাঙন ও রোপা আমনের ক্ষতি

Other

কুড়িগ্রামে নদ-নদীতে পানি বাড়া-কমার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন ও রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা। পানি বৃদ্ধির ফলে জেলায় ৬ হাজার ৪৭ হেক্টর রোপা আমন ধান ও সবজি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়াও শতশত বিঘা ফসলি জমি ভাঙনে নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্ক রয়েছে বসতবাড়িসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বুধবার সকালে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপূত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি ব্রীজ পয়েন্টে ১ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।  

নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের খাস ইউনিয়নে গঙ্গাধর নদীর ভাঙনে শতশত বিঘা জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বসতবাড়ি। এছাড়াও তিস্তা নদীতে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা এবং উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও বজরা এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হক জানান, চলতি বন্যায় এখন পর্যন্ত জেলায় ৬ হাজার ৪৭ হেক্টর ফসল পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এরমধ্যে রোপা আমন ৫ হাজার ৯৬৭ হেক্টর এবং সবজি ৮০ হেক্টর।  

এছাড়াও তিনি জানান, করোনায় পূণর্বাসন হিসেবে ১হাজার ৪শ’ কৃষককে বিআর-২৩ ও বিআর-৩৪ নাভিজাতের ৫ কেজি করে বীজ প্রদান করা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ৯টি উপজেলায় আগাম ৩৮ লক্ষ টাকা উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

NEWS24.TV / কামরুল