বাইপোলার ডিসঅর্ডার নিয়ে ভারতের শীর্ষ আদালতের যুগান্তকারী রায়

ফাইল ছবি

বাইপোলার ডিসঅর্ডার নিয়ে ভারতের শীর্ষ আদালতের যুগান্তকারী রায়

অনলাইন ডেস্ক

বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো মানসিক সমস্যা থাকলেও বিচারক হতে বাধা নেই। একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।   দেশটির বিচারপতিদের বক্তব্য, মানসিক রোগ যদি কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে জুডিশিয়াল দায়িত্ব পালনে কোনও সমস্যা হতে পারে না। স্পেশাল ক্যাটাগরিতে ছাড়পত্র দেওয়া যেতেই পারে।

বুধবার বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউলের ব্রেঞ্চ এই রায় দেন। বিচারপতিরা জানিয়েছেন,  রাজধানীর যেকোনও জেলা আদালতে তার জুডিসিয়াল অফিসার হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তিনি বিচারক হিসাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। খবর এনডিটিভি।

২০১৮ সালে দিল্লি জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় পাস করেছিলেন ভাব্য নইন। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারকের পদে তার নিয়োগপত্র বাতিল হয়ে যায় ২০১৯ সালে। আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, তিনি মানসিকভাবে সুস্থ নন। কাজেই বিচারপক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে তিনি অপারগ। এরপরেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন সেই ব্যক্তি। এই সংক্রান্ত মামলা চলছিল গত কয়েকবছর ধরে। বুধবার এই মামলার শুনানিতে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন:

গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকর

হাফ পাস শুধুমাত্র ঢাকায় কার্যকর হবে বললেন এনায়েত উল্লাহ

কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা: ৬ হামলাকারী শনাক্ত


 

এর আগে ১৭ নভেম্বর বিচারপতি এম এম সুন্দ্রেশ সহ সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ একটি মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টের ভিত্তিতে রায় দেন ভব্য নৈন নামের ওই ব্যক্তিকে বিচার বিভাগীয় অফিসার হিসাবে তার দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন না এমন ইঙ্গিত করার মতো কিছুই নেই।
 
ভব্য নাইন নামের ওই ব্যক্তির ১১ বছর আগে বাইপোলার ডিসঅর্ডার রোগে আক্রান্ত হন যখন তার বয়স ছিল ২৫। আর সেই মানসিক সমস্যাই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল নৈনকে। তবে ওষুধ আর কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তিনি অনেকটাই সেরে উঠেছিলেন।

news24bd.tv/আলী