‘পাকিস্তানে যাওয়া দেশদ্রোহ হলে মোদি দেশদ্রোহী’

নওয়াজ শরীফের সঙ্গে করমর্দন করছেন নরেন্দ্র মোদি।

‘পাকিস্তানে যাওয়া দেশদ্রোহ হলে মোদি দেশদ্রোহী’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস এর মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল বলেন, সিধু কংগ্রেস নেতা হিসেবে বা পাঞ্জাবের মন্ত্রী হিসেবে সেদেশে যাননি। তিনি কেবল ‌‌‘ইমরান খানের বন্ধু’ হিসেবে সেখানে গিয়েছিলেন। যদি পাকিস্তানে যাওয়া দেশদ্রোহ হয় তাহলে সবার আগে তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই দেশদ্রোহী! জাতীয়তাবাদের পাঠ তখনই স্মরণ করা দরকার ছিল, যখন প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানে গিয়ে বিরিয়ানি খেয়েছিলেন এবং তার মন্ত্রী পাকিস্তানি দূতাবাসে গিয়ে দাওয়াত খেয়েছিলেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতা ও পাঞ্জাবের মন্ত্রী নভজোত সিং সিধু অংশ নেওয়ায় এবং সে দেশের সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলিঙ্গন করায় বিজেপির পক্ষ থেকে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।

এর জবাবে কংগ্রেস মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল আজ এসব কথা বলেন।

ইমরানের শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ায়...

তিনি বলেন, যখনই পাকিস্তানের কথা হয় তখনই সমস্ত দল ও দেশবাসীকে একস্বরে কথা বলা উচিত। কিন্তু বিজেপি মুখপাত্র যখন টিভি চ্যানেলের টকশোতে বসেন তখন তাদের বিরুদ্ধে বড়বড় কথা বলেন, তাদেরকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু পরে আচমকাই ওই নীতি পরিবর্তন হয়ে যায়!

জয়বীর শেরগিল বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে এটা স্পষ্ট করা উচিত পাকিস্তান সম্পর্কে তার সরকারের নীতি কী? কখনো তিনি পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার কথা বলেন, পরে তিনিই আবার বিনা দাওয়াতে পাকিস্তানে বিয়ের অনুষ্ঠানে চলে যান।

আইএসআইয়ের লোকেদেরও এখানে আসতে বলেন। সেজন্য বিজেপি ও মোদি সরকারকে জাতীয়তাবাদের ভণ্ডামি না করে পাকিস্তান সম্পর্কে তাদের নীতি দেশবাসীর সামনে স্পষ্ট করা উচিত।

কাশ্মীর সম্পর্কে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য সম্পর্কে কংগ্রেসের ওই মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখতে পারে কিন্তু সত্য এটাই যে কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অঙ্গ ছিল এবং সবসময় তা থাকবে।

কাশ্মীর নিয়ে দিবাস্বপ্ন না দেখে নিজেদের দরিদ্রতা দূর করার দিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলেও কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল মন্তব্য করেন।

হু আর ইউ?: যুুক্তরাষ্ট্রকে দুতের্তে

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর