কোরবানির পশু জবাই করার বিধান

প্রতীকী ছবি

কোরবানির পশু জবাই করার বিধান

ধর্ম ডেস্ক

আগামীকাল বুধবার (২২ আগস্ট) সারাদেশে পালিত হবে পবিত্র ইদুল আজহা। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সাধ্য অনুযায়ী কোরবানি করবেন সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য। কিন্তু, অনেক সময় কোরবানির নিয়ম না জানায় পশু হালাল হয় না।  কোরবানির পশু জবাইয়ের ব্যাপারে ইসলামে সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে।

মাসআলা : নিজের কোরবানির পশু নিজেই জবাই করা উত্তম। নিজে না পারলে অন্যকে দিয়েও জবাই করাতে পারবে। এ ক্ষেত্রে সম্ভব হলে কোরবানিদাতা জবাইস্থলে উপস্থিত থাকা ভালো। (মুসনাদে আহমাদ ২২৬৫৭, বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭৯, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০০)

মাসআলা : জবাইকারী ও তার সাথে ছুরি ধরায় অংশগ্রহণকারী উভয়েই ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে জবাই করতে হবে।

ইচ্ছাকৃত কেউ বিসমিল্লাহ ছেড়ে দিলে পশু হালাল হবে না, হ্যাঁ, ভুলে হলে কোনো সমস্যা নেই। (আল বাহরুর রায়েক ৮/১৯৩)

মাসআলা : কোনো কোনো সময় জবাইকারীর জবাই সম্পন্ন হয় না, তখন কসাই বা অন্য কেউ জবাই সম্পন্ন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই উভয়কেই নিজ নিজ জবাইয়ের আগে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়তে হবে। যদি কোনো একজন না পড়ে তবে ওই কোরবানি সহীহ হবে না এবং জবাইকৃত পশুও হালাল হবে না। (রদ্দুল মুহতার ৬/৩৩৪)

মাসআলা : জবাইয়ে পশুর চারটি রগের (শ্বাসনালি, খাদ্যনালি ও দুটি রক্তনালি) মধ্য থেকে তিনটি কাটা আবশ্যক, চারটি কাটাই উত্তম। (আল বাহরুর রায়েক৮/১৯৩)

মাসআলা : ধারালো অস্ত্র দ্বারা জবাই করা উত্তম। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৮০)

মাসআলা : জবাইয়ের পর পশু নিস্তেজ হওয়ার আগে চামড়া খসানো বা অন্য কোনো অঙ্গ কাটা মাকরূহ। জবাইয়ের সময় প্রাণিকে যথাসাধ্য কম কষ্ট দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এক পশুকে অন্য পশুর সামনে জবাই না করা উত্তম। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৮০)

মাসআলা : কোরবানির পশু জবাই করে পারিশ্রমিক দেওয়া-নেওয়া জায়েজ। তবে কোরবানির পশুর কোনো অংশ পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া যাবে না। (কিফায়াতুল মুফতী ৮/২৬৫)

মাসআলা : কোরবানির পশুতে অংশীদার কেউ জবাই করে অন্য শরীকদের থেকে জবাইয়ের পারিশ্রমিক নেওয়া জায়েজ নেই। (রদ্দুল মুহতার ৫/৩৮, আহসানুল ফাতাওয়া ৭/৫১৮) 

সম্পর্কিত খবর