বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে পূর্বঘোষিত জনসভা চলছে। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি অস্থায়ী মঞ্চে বিএনপির নেতারা আসন গ্রহণ করেছেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার দুপুর দুইটায় জনসভা শুরু হলেও অনেক আগে থেকেই দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন। হাজার হাজার নেতাকর্মীরা এসে জনসভায় যোগ দিয়েছেন। বেলা ১১টা থেকে নয়াপল্টনে লোকসমাগম শুরু হয়। নয়াপল্টন, নাইটিঙ্গেল মোড়, ফকিরাপুল মোড় এবং নয়াপল্টনের আশপাশের এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভিড় জমান।
দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জনসভায় বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন। এরপর দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেবেন। সবশেষে বিএনপির মহাসচিব ও আজকের জনসভার সভাপতি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দেবেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এর আগে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়সহ দেশব্যাপী বিএনপির কার্যালয়গুলোতে সকাল ৬টায় দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১০টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন দলের সিনিয়র নেতারা।
এ সময় দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই বিএনপির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আজকের এই দিনটি বিএনপির জন্য কোনো উৎসবের দিন নয়। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতার মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। আমাদের দলের চেয়ারপারসন আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও মিথ্যা মামলায় নির্বাসিত। তাদের ছাড়াই আমরা আজ এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছি।
তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শপথ করব, এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের। এই ফ্যাসিস্ট, গণতন্ত্রবিরোধী, সমাজবিরোধী সরকার বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে। রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। ’
আজকের জনসভায় ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে এসেছেন। তাঁরা দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তি, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাসহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য আজকের সমাবেশকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। এ কারণে দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মী আজকের জনসভাকে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের বড় কর্মসূচি হিসেবে বিবেচনা করে জনসভায় অংশ নিয়েছেন।
বিএনপির আজকের জনসভাকে ঘিরে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। তবে সাদাপোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জনসভাস্থলে রয়েছেন।
