সোভিয়েত বিপ্লবের পর নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। দেশটির পূর্ব সীমান্ত তথা সাইবেরিয়ায় গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া মহড়াটি শেষ হচ্ছে সোমবার।
৭ দিন ব্যাপী ‘ভসটক ২০১৮’ নামের এই বিশাল সামরিক মহড়াকে রাশিয়ার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক-প্রস্তুতি বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
আলোচিত এই মহড়ায় রাশিয়ার প্রতিবেশী চীন ও মঙ্গোলিয়াও অংশ নিয়েছে।
তবে উত্তর আটলান্টিক সামরিক জোট (ন্যাটো) সদস্য তুরস্ককে এ মহড়ায় অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হলেও দেশটি তা করেনি। বরং মহড়া পর্যবেক্ষণে সাইবেরিয়ায় টিম পাঠিয়েছে তুরস্ক।
রুশ বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, ৭ দিনের এই মহড়ায় রুশ সামরিক বাহিনীর অন্তত ৩ লাখ সদস্য অংশ নিয়েছে। এছাড়া মহড়ায় এক হাজার যুদ্ধবিমান ও ৩৬ হাজার ট্যাঙ্ক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
‘ভসটক ২০১৮’ নামের এই বিশাল সামরিক মহড়ায় চীন ৩ হাজার ২০০ সেনা, ৯০০ কমব্যাট ভেইকেল এবং ৩০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। মঙ্গোলিয়ার সেনাসংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা, রুশদের বাঙ্কারে খাদ্য মজুদের পরামর্শ
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই সামরিক মহড়াকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগাম হুমকি বলে বলে মনে করছে পশ্চিমা বিশ্ব। বিশেষত ন্যাটো এই মহড়াকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। রাশিয়ার ঐতিহাসিক এ মহড়া নিয়ে আটলান্টিকের দুই তীরেই চলছে চাপা উত্তেজনা।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম এক্সপ্রেস এই মহড়াকে রুশ ভল্লুকের বাড়বাড়ন্ত আখ্যা দিয়ে শিরোনাম করেছে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সতর্কতা’!
বৃহৎ এই সামরিক মহড়ায় রাশিয়ার সঙ্গে চীনের অংশগ্রহণকে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো নিজেদের জন্য বাড়তি হুমকি বলে মনে করছে।
যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ নয়, শান্তির বাণীই শোনাচ্ছেন বিশ্বকে। আন্তর্জাতিক সামরিক অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার জন্যই রাশিয়া এমন জমকালো মহড়ার আয়োজন করেছে বলে উল্লেখ করেছে পুতিন।
অক্টোবরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত জ্যোতিষীর!
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)