‘বাবরী মসজিদের জায়গাতেই রামের জন্মস্থান’

বাবরী মসজিদ ও রাম মন্দির

‘বাবরী মসজিদের জায়গাতেই রামের জন্মস্থান’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ভারতের আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত রাম মন্দির নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে আইন তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার আরএসএসের সদর দপ্তর নাগপুরে বিজয়া দশমী উৎসব উপলক্ষে এক বার্ষিক অনুষ্ঠানে তিনি এমন দাবি জানান।

মোহন ভাগবত বলেন, খুব শিগগিরি রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সরকারের আইন আনা উচিত।

তিনি বলেন, জমির মালিকানা কার, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথ সহজতর করা উচিত সরকারের।

রাজনীতির  জন্যই  রাম মন্দির নির্মাণে বিল্মব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্রাট বাবরের কঠিন সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘রাম কেবল হিন্দুদের নয়, বরং গোটা দেশের। আত্মসম্মানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে রাম মন্দির নির্মাণ জরুরি। রাম মন্দির নির্মাণ হলে দেশে সদ্ভাবনার পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

বাবর রাম মন্দির ধ্বংস করে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। আমরা জানি এখানেই রাম মন্দিরের অস্তিত্ব আছে। কিন্তু রাম মন্দির তৈরি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যের। এখনই রাম মন্দির নির্মাণ হওয়া উচিত। ’

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় কয়েকশ’ বছরের পুরোনো বাবরী মসজিদ উগ্রহিন্দুত্ববাদীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। তারা ওই স্থানেই রাম মন্দির নির্মাণ করতে চায়।

তাদের দাবি, বাবরী মসজিদের জায়গাতেই ভগবান রামের জন্মস্থান। বিষয়টি  সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকার মধ্যে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত সেখানে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য আইন আনতে হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে দাবি জানালেন।

পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মন্ত্রী ও কোলকাতার নব বালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আরএসএসের প্রধান একথা বলবেন এতে আর নতুনত্বের কী আছে? কারণ, একমাত্র এই ইস্যুটাকে সামনে রেখে মন্দির- মসজিদ, ধর্মীয় মেরুকরণ করে যদি নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়া যায়! অন্যথায় সম্ভব নয়।

কারণ, উত্তর ভারতের যে রাজ্যগুলো তারা দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে আসছে সেখানেও নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে, তাদের অবস্থা ভালো নয়। বিজেপিশাসিত রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিসগড়ে এখন উল্টো হাওয়া। ’

তিনি বলেন, রুজি-রুটির প্রশ্নে এক ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য চলছে। পণ্য ও পরিসেবা কর (জিএসটি), নোট বাতিল ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে গোটা দেশজুড়ে কৃষকদের মধ্যে, ছোটো ব্যবসায়ীদের মধ্যে, সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বেড়ে চলেছে। এরকম অবস্থায় এই সরকারকে বাঁচানোর একমাত্র পথ ধর্মীয় মেরুকরণ। এছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। বিজেপি সেই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। আর এখন তো আর বিজেপি নেই। বিজেপি নামক যে দলকে আরএসএস পিছন থেকে পরিচালনা করত, এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট যে, বিজেপি-আরএসএস মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। এখন আরএসএসই বিজেপি’র হয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে চলেছে। ’ 

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর