ফের চলন্ত বাসে গণধর্ষণের চেষ্টা!

চলন্ত বাসে গণধর্ষণের চেষ্টা

ফের চলন্ত বাসে গণধর্ষণের চেষ্টা!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ঢাকায় আসমানী পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে আবারও এক তরুণীকে শ্লীলতাহানি ও গণধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। পরে সম্মান বাঁচাতে ওই তরুণী জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে।

অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বাসটির চালক রাসেল ভুইয়াকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, গত ২৮ ডিসেম্বর ওই তরুণী (২৫) কুড়িল বিশ্বরোড তরুণীর খালার বাসা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আব্দুল্লাহপুরের উদ্দেশে আসমানী পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৮৩২৮) একটি বাসে ওঠেন। গাড়ির মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ায় তিনি বুঝতে পারেননি বাসটি কোথায় যাচ্ছে। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে কারো হাতের স্পর্শে তার চেতনা ফিরে পেলে দেখতে পান বাসের মধ্যে ওই তরুণী ছাড়া আর কোনো যাত্রী নেই।

এ সময় ওই গাড়ির চালক, হেলপার, কন্ট্রাক্টরসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন তরুণীকে ঘিরে ধরে এবং তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে নেয়। একপর্যায়ে ওই তরুণীর শরীরে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওড়না টেনে ছিঁড়ে ফেলে দেয় এবং শ্লীলতাহানি শুরু করে। এক পর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই তরুণী তার মোবাইল ফোন ও স্বর্ণের চেইন রেখে তাকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু কেউ শোনেনি তার কথা। অবশেষে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাসের জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে পড়ে যান ওই তরুণী। উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ঢাকা আশুলিয়া মহাসড়কের স্লইচগেট পাইকারি কাচাঁবাজার সংলগ্ন পাকা রাস্তায় পড়ে গিয়ে মাথায় জখম এবং হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় থেঁতলে যায়। এ সময় কাঁচাবাজারে থাকা লোকজন তরুণীকে উদ্ধার করে স্থানীয় উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে এবং তার আত্মীয়স্বজনকে খবর দেয়।

গত ২৮ ডিসেম্বরের এই ঘটনার পর চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই তরুণীর চাচা।
মামলায় বাসচালক রাসেল ভুইয়া (২০) ও হেলপার মো. মিরাজসহ (২৫) অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর