বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল শারমিন

বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল শারমিন

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বাড়িময় আত্মীয় কুটুম্ব। চলছে খানাপিনা। মাইকের হাকে ডাকে মুখর গ্রাম। বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন।

বর কনেও প্রস্তুত। এমন সময়ে পুলিশ নিয়ে হাজির দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজ আল আসাদ। বললেন ‘এ বিয়ে হবে না। মেয়েটির শিক্ষা জীবন রক্ষা করতে হবে’।

রোববার রাত ১০ টায় এ ঘটনা ঘটে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার দেবহাটা গ্রামে। কনে শারমিনও আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে বলে উঠল ‘আমি লেখাপড়ার নতুন জীবন ফিরে পেতে চাই’।  

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজ আল আসাদ জানান, দেবহাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শারমিন আক্তার। ওই গ্রামের মো. সলেমানের মেয়ে সে। ‘ভালো ছেলে পেয়েছি, পরে আর পাওয়া যাবে না’ এই ভরসায় বাবা মেয়ে শারমিনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন পার্শ্ববর্তী  কোড়া গ্রামের এক তরুণের। এ খবর জানতে পেরে তিনি পুলিশের কয়েকজন সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আরমান হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন বিয়ে বাড়িতে।

তিনি তাদের বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে বলেন, এতে মেয়েটির লেখাপড়া নষ্ট হবে। অল্প বয়সে মা হলে তার ও নবজাতকের স্বাস্থ্যহানি ঘটবে। দুটি জীবন বিপন্ন হবারও আশঙ্কা থাকবে। দুটি পরিবারেও এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এ সময় মা তার শিশুকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়বে।

ইউএনও জানান, তার কথায় সম্মত হয়ে বাবা সলেমান প্রাপ্ত বয়স হবার আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। পরে মেয়ের বাবা-মা একটি মুচলেকায় স্বাক্ষর করেন।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/জুঁই/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর